আইজল এফসি- ১ (রালতে)
মোহনবাগান-০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইজলে পা রাখা মাত্র ঠান্ডা আর কুশায়ার আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছিল বাগান ফুটবলারদের৷ সঙ্গী ছিল কেবল আত্মবিশ্বাস৷ তাতে ভর করেই মেঘে ঢাকা রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে লড়াইয়ে নেমেছিলেন সঞ্জয় সেনের ছেলেরা৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না৷ ঘরের মাঠ ও ঘরোয়া পরিবেশকে পুরোদস্তুর কাজে লাগিয়ে সফরকারী দলকে মাটি ধরালেন খালিদ জামিলের ছেলেরা৷ আর সেই সঙ্গে প্রথমবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেল আইজল এফসি’র৷ ভারতসেরা হওয়ার স্বপ্ন চূড়ান্ত কঠিন হয়ে পড়ল মোহনবাগানের৷
[খরা মোকাবিলায় উদাসীন প্রশাসন, মূত্র পান করে প্রতিবাদ কৃষকদের]
কোথায় বল? কে কোন পজিশনে খেলছেন? সোনি কি অনেকটা নিচে নেমে উইং ধরে লড়াই চালাচ্ছেন? কর্নার থেকে নেওয়া শট কি গোলকিপারের হাতে গিয়ে পৌঁছল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুব কষ্ট করে পেতে হচ্ছিল দর্শকদের৷ তা তিনি মাঠে বসেই দেখুন আর টিভির পর্দায়৷ কারণ পাহাড়ি বৃষ্টি৷ মুহূর্তের মধ্যে মেঘের কোলে ঢুকে পড়ছে গোটা মাঠ৷ কে কোথা দিয়ে আক্রমণ করছে, বোঝা দায়৷ তারই মধ্যে ওয়ান ইজটু ওয়ান পজিশন থেকে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন ডাফি৷ তবে বল চলে যায় আলবিনো গোমসের হাতে৷ মেঘে ঢাকা মাঠে অজস্র মিস পাসও করলেন বাগান ফুটবলাররা৷ তুলনামূলক অনেকটা সমঝে খেলল হোম ফেভরিটরা৷ ম্যাচের অনেকটা সময় জুড়ে বল দখলেও এগিয়ে ছিলেন তাঁরা৷ ৩১ মিনিটে রাইট উইং ধরে রাজুকে টপকে আল আমনা বল ঠেলে দেন পোলের দিকে৷ কিন্তু দেবজিতের হাতে গিয়েই জড়ো হয় বল৷ তবে আমনার কর্নার কিককে কাজে লাগিয়ে দুরন্ত হেডারে গোল করলেন রালতে৷ আর সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হওয়া কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল আইজল এফসি৷ ডাফি, সোনিকে একাধিকবার আটকে দিতে সফল আইজল ডিফেন্ডাররা৷ কিন্তু জেজেকে এদিন সেভাবে খুঁজে পাওয়া গেল না৷ মাঠে তাঁর বাবা-মা পৌঁছেছিলেন ছেলের খেলা দেখতে৷ তবে মনে-প্রাণে আইজলেরই জয় প্রার্থনা করছিলেন তাঁরা৷ তাই কোথাও যেন একটা দোটানা কাজ করে গেল জেজের মধ্যে৷ আর সেই কারণেই বোধহয় খেলায় ছাপ ফেলতে পারলেন না৷ দ্বিতীয়ার্ধে প্রবীর দাসের সাজানো সেন্টারকেও কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি৷
[জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ফাঁস, পুলিশের নজরে ২০০০ মাদ্রাসা-মসজিদ]
অ্যাওয়ে ম্যাচে বাগানের ঘরের মাঠে রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে ২-৩ গোলে হারতে হয়েছিল আইজলকে৷ এদিন নিজেদের মাঠে সেই হারেরই মধুর প্রতিশোধ নিল দল৷ ১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে ফের লিগ তালিকার শীর্ষে পাহাড়ি ক্লাব৷ ৩০ এপ্রিল তাদের শেষ ম্যাচ শিলং লাজংয়ের সঙ্গে। সেই ম্যাচ আইজল হারতে পারে খুব বড় ফুটবল বিশেষজ্ঞরাও বলবেন না এই মুহূর্তে। সুতরাং ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে খালিদ জামিলের ব্রিগেড। অন্যদিকে, একই দিনে একই সময়ে মোহনবাগানের শেষ ম্যাচ চেন্নাই এফসির সঙ্গে। আইজল লাজংকে হারিয়ে দিলে বা ম্যাচ ড্র হলে মোহনবাগান চেন্নাইকে হারালেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না। সুতরাং লিগ জয়ের আশা কার্যত শেষ সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের।
The post পাহাড়ে মুখ থুবড়ে পড়ল লিগ জয়ের সবুজ-মেরুন স্বপ্ন appeared first on Sangbad Pratidin.