সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর রাজ্য দল সৌরাষ্ট্র (Saurastra)। তবে ঘরের মাঠ রাজকোট স্টেডিয়াম (Rajkot Stadium) নয়। বরং রবীন্দ্র জাদেজার (Ravindra Jadeja) কাছে ‘ঘরের মাঠ’ বলতে এক ও অদ্বিতীয় এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম (MA Chidambaram Stadium)। চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) হয়ে এই চিপকে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে খেলছেন। এমন ঘূর্ণি পিচকে যে তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন। তাই অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে সাফল্য পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন ‘স্যর জাদেজা’। আর তাই ঠিক তাই হল। দুরন্ত মেজাজে বিশ্বকাপ (ICC ODI World Cup 2023) অভিযান শুরু করল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। সৌজন্যে ‘জাড্ডু’-র অসাধারণ স্পেল। বোলিং ফিগার দেখার মতো। ১০-২-২৮-৩।
একইসঙ্গে এমন সাফল্য পেয়ে জোড়া রেকর্ড গড়লেন জাদেজা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে অজিদের বিরুদ্ধে সব ফরম্যাটে ১০০ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে জাদেজা তিন নম্বরে জায়গা করে নিলেন। তবে ৪১ ম্যাচে ১২৮ উইকেট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড (Stuart Broad)। ৩৭ ম্যাচে ১০২ উইকেট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছেন হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। ৪০ ম্যাচে ১০২ নিলেন জাদেজা।
[আরও পড়ুন: তিন স্পিনারের দাপটের সঙ্গে রোহিতের দুরন্ত অধিনায়কত্ব, অস্ট্রেলিয়া ১৯৯ রানে অল আউট]
অবশ্য আরও একটি রেকর্ড বাকি আছে। এর আগে বিশ্বকাপে অজিদের বিরুদ্ধে ভারতের স্পিনারদের সেরা পারফরম্যান্স ছিল মনিন্দর সিংয়ের (Maninder Singh)। ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে দিল্লির মাঠে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন প্রাক্তন বাঁহাতি স্পিনার। এবার চেন্নাইতে ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে মনিন্দরকে ছুঁলেন জাড্ডু।
অজিদের মতো ব্যাটিংকে ১৯৯ রানে রুখে নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের। সেটা তিনি জানেন। ইনিংস বিরতির সময় আইসিসি-র মাধ্যমে ক্যামেরার আসতেই জাদেজা অস্ফুটে বলেন, “১১ বছর ধরে সিএসকে-এর হয়ে খেলছি। এই পিচ কেমনভাবে বোলিং করতে হয় সেটা খুব ভালোভাবে জানি। খেলা শুরু হওয়ার আগে ভেবেছিলাম অন্তত ২-৩ উইকেট তো পাওয়া উচিত। তাই হল। ৩ উইকেট পেলাম। আমি খুব খুশি। দারুণ আনন্দ হচ্ছে।”
জাদেজার তিন শিকারি স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশানে ও অ্যালেক্স ক্যারি। এরমধ্যে কাকে আউট করে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছেন? জাদেজা সেই তুলনায় যেতে রাজি নন। যদিও ক্রিকেট পণ্ডিতদের মতে, স্মিথকে বোল্ড করাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। কোন ছকে স্মিথকে ফিরিয়েছিলেন? সেটাই জানালেন তিনি।
জাদেজা যোগ করেন, “আমি বরাবরের মতো উইকেট লক্ষ্য করেই বোলিং করার পরকিল্পনা নিয়েছিলাম। তবে এই পিচে বল শুরু থেকেই টার্ন করছিল। তাই কোন বলটা বাইরে যাবে সেটা নিয়ে আমার নিজেরও ধারণা ছিল না।”
মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চিপকে খেলার সুবাদে, চেন্নাইইয়ের ক্রিকেটপ্রেমীরা তাঁকেও ভালোবাসেন। তাঁদের সামনেই নিজেকে ফের একবার মেলে ধরলেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন যে এবারের কাপ যুদ্ধে তাঁকে আটকে রাখা বিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য কঠিন হবে।