সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দারুণ নাটকীয়তার জন্ম হল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের (Bangladesh) বোলিং আক্রমণের সামনে ৮ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) ইনিংস তখন শেষের পথে। এমন সময় কিউই স্পিনার ইশ সোধিকে (Ish Sodhi) মানকাডিং করে বসেন টাইগার্স পেসার হাসান মাহমুদ (Hasan Mahmud)। আইসিসি (ICC) স্বীকৃত এই আউট নিয়ে মাঠে তৈরি হয় চরম নাটকীয়তার। এবং সেটা নিয়ে শাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) ড্রেসিংরুমে লেগে গেল তীব্র অশান্তি। কারণ ‘স্টপ গ্যাপ’ অধিনায়ক লিটন দাসের (Liton Das) আচরণ মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal)। সেটা প্রকাশ্যে জানিয়েও দিলেন তারকা ওপেনার।
সোধি খুশি হলেও লিটনের সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না তামিম। তিনি বলেন, “মানকাডিং-এ কাউকে আউট করার মধ্যে আমি কোনও ভুল দেখি না। এটা ক্রিকেটের নিয়মেই রয়েছে। এভাবে যদি আমাদের কেউ আউট হয় বা আমরা কাউকে আউট করি, তাতে ভুল নেই।” তিনি ফের যোগ করেছেন, “এটা দলগত সিদ্ধান্ত। তবে আউট করার পর ব্যাটারকে ফিরিয়ে আনার কোনও অর্থ হয় না।”
[আরও পড়ুন: বিরাট-রোহিত নন, কাপ যুদ্ধে কার উপর বাজি ধরলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট?]
৪৬তম ওভারের চতুর্থ বলটি করতে দৌড় শুরু করেছিলেন হাসান মাহমুদ। উইকেটের কাছে এসে দেখেন, নন স্ট্রাইকার ইশ সোধি দাগ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। দ্রুততার হাসান স্টাম্প ভেঙে দেন! এমন ঘটনায় চমকে যান সোধি! ঠিক সেই সময় লিটন দাসকে হাসতে দেখা যায়। ডাকা হয় তৃতীয় আম্পায়ার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, সোধি রান আউট হয়ে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত বর্তমানে মানকাডিংকে এখন রান আউট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মাথা নাড়তে নাড়তে কিছু একটা বলতে বলতে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা দেন সোধি। তখনই তৈরি হয় আর এক নাটকীয়তার। অধিনায়ক লিটন দাস সেই সময় সোধিকে ফিরিয়ে আনেন। হাসানও যোগ দেন তাঁর সঙ্গে। এরপর সোধি হাসিমুখে ক্রিজে ফিরে আসেন লিটন দাসকে ধন্যবাদ জানানোর পর হাসান মাহমুদকে জড়িয়ে ধরেন।
আইসিসি-র বিতর্কিত আইনগুলোর একটি ‘মানকাডিং’। এটা আইসিসি আইনসিদ্ধ হলেও অনেকে এটাকে ‘ক্রিকেটের বিরোধী’ হিসেবে মনে করেন। ‘মানকাডিং’ করার পর অধিনায়ক চাইলে আম্পায়ারের কাছে আবেদন প্রত্যাহার করতে পারেন। লিটন দাস সেটাই করেছেন। তবে হাসান মাহমুদও স্পিরিটের পরিচয় দিলেন। তবে সতীর্থদের এমন আচরণ মেনে নিতে পারলেন তামিম। ম্যাচের শেষে তিনি প্রকাশ্যেই লিটনের সমালোচনা করলেন।