ভারত (প্রথম ইনিংস) ৪৪৫ (রোহিত ১৩১, জাদেজা ১১২, সরফরাজ ৬২, ধ্রুব ৪৬, মার্ক উড ৪/১১৪)
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস) ২০৭/২ (ডাকেট ১৩৩ অপরাজিত)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে বাজবল ক্রিকেট। এছাড়া আর কীইবা বলা যায়। ভারতের ৪৪৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তূরীয় মেজাজে ব্যাট করলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। থুড়ি বলা ভালো বেন ডাকেট (Ben Duckett)। ভারতীয় বোলারদের মাঠের যত্রতত্র ফেললেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের শেষে বেন ডাকেট অপরাজিত ১৩৩ রানে। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন জো রুট (৯)। স্কোরবোর্ড বলছে ইংল্যান্ডের (England Cricket Team) রান ২ উইকেটে ২০৭। ইংল্যান্ড যে গতিতে রান তুলল, তাতে মনে হচ্ছে ভারতের ৪৪৫ রানও খুব কম। ইংল্যান্ড এই মুহূর্তে ২৩৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে ভারতের থেকে।
ভারতে পা রাখার অনেক আগে থেকেই সমালোচকরা বলে যাচ্ছিলেন, এদেশের মাটিতে বাজবল ক্রিকেট কাজে আসবে না। কিন্তু ইয়ান বোথামের মতো ইংল্যান্ডের প্রাক্তন কিংবদন্তি জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাজবল ক্রিকেট সফল।সেটাই দেখা যাচ্ছে এদেশের মাটিতেও। বাজবল ক্রিকেট মাঠে লোক টানছে। এই আগ্রাসী ক্রিকেট সমাদৃত হচ্ছে। বাজবল ক্রিকেটের জন্যই ভারতের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ইংল্যান্ড।
প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ছিল পাঁচ উইকেটে ৩২৬। রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত ছিলেন ১১০ রানে।
এদিন জাদেজা আগেরদিনের রানের সঙ্গে দুরান যোগ করার পরে আউট হন। রুটের বলে তিনি ফেরেন। তার পরে ৭৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান ধ্রুব জুড়েল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ধ্রুবের এটাই অভিষেক টেস্ট ম্যাচ। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪৬ রানের অমূল্য ইনিংস। শেষের দিকে মারকুটে ব্যাটিং করেন জশপ্রীত বুমরাহ। ভারত থামে ৪৪৫ রানে।
[আরও পড়ুন: সরফরাজে মুগ্ধ, ‘নেপথ্য কারিগর’ বাবা নওশাদকে গাড়ি উপহার দিলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা]
এদিকে ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নামার আগেই পাঁচ রান পেয়ে যায়। ব্যাট করার সময়ে মহাভুল করে বসেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। পিচের মাঝখান দিয়ে দৌড়ন তিনি। যে অঞ্চল দিয়ে দৌড়নো নিষিদ্ধ, বাইশ গজের সেই সংরক্ষিত এলাকা দিয়েই দৌড়লেন ভারতের ব্যাটার অশ্বিন। তার খেসারতও গুনতে হল ভারতীয় দলকে।ভারতের ইনিংসের ১০২-তম ওভারের ঘটনা। ইংল্যান্ডের বোলার রেহান আহমেদের ডেলিভারি কভারের দিকে ঠেলে রান নিতে যান অশ্বিন। কিন্তু নন স্ট্রাইকার্স এন্ডে দাঁড়ানো ধ্রুব জুড়েল ফিরিয়ে দেন অশ্বিনকে। তিনি রান নিতে অস্বীকার করেন। ভারতের অফস্পিনার সেই সময়ে পিচের মাঝখান দিয়ে দৌড়ন। ফিল্ড আম্পায়ার জোয়েল উইলসন কথা বলেন অশ্বিনের সঙ্গে। ইংল্যান্ডকে পাঁচ রান দেওয়া হয়।
ইংল্যান্ড শুরু থেকেই ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকে। ওপেনার জাক ক্রলি ভারতের অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হলেও থামানো যায়নি বেন ডাকেটকে। ক্রলি যখন আউট হন, তখন ইংল্যান্ডের রান ছিল এক উইকেটে ৮৯। ক্রলিকে ফিরিয়ে অশ্বিন টেস্টে পাঁচশো উইকেটের মালিক হন।
৮৯ রানের মধ্যে সিংহভাগ রানই করেন ডাকেট। ক্রলি আউট হওয়ার পরে পোপ ও ডাকেট ৯৩ রান জোড়েন। ৮৮ বলে শতরান হাঁকান ডাকেট। ইংল্যান্ড ব্যাটারদের মধ্যে এটাই দ্বিতীয় দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি। জাক ক্রলি দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। সতীর্থের রেকর্ড বেঁচে গেল এদিন। পোপও ভালোই এগোচ্ছিলেন। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে পোপকে এলবিডব্লিউ করেন সিরাজ। তার পরেও অবশ্য দমানো যায়নি ডাকেটকে। আতঙ্কের নাম এখন ডাকেট। তৃতীয় দিনের (IND vs ENG) শুরুতেই ফেরাতে হবে তাঁকে। নাহলে ভারতের বোলিং নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারেন তিনি।