সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনিতে দু’জনের সম্পর্ক বেশ ভাল। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও বাবর আজম (Babar Azam), দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের দুই ক্রিকেট আইকন একে অপরের সম্পর্কে খুবই শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) এগিয়ে আসতেই কি পুরনো আগ্রাসী মেজাজ ধরলেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন অধিনায়ক। পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান অধিনায়ককে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেও, ক্রিকেট পণ্ডিতদের দাবি এশিয়া কাপের আগে বিপক্ষের মহাতারকার বিরুদ্ধে মাইন্ড গেম শুরু করে দিলেন ‘কিং কোহলি’ (King Kohli)।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ের কথা। রানের খরা চলছিল। কেরিয়ায়ের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট। কপিল দেব, অজয় জাদেজা ও ভেঙ্কটেশ প্রসাদের মতো প্রাক্তনরা বলেছিলেন বিরাটের এবার বিশ্রাম নেওয়া উচিত। ঠিক সেই কঠিন সময়ে তাঁর পাশে এসে সবার আগে দাঁড়িয়েছিলেন বাবর আজম। টুইটারে বাবর লিখেছিলেন, ‘কঠিন সময় কেটে যাবে। শক্ত থেকো বিরাট কোহলি।’ বাবরের বেনজির শ্রদ্ধায় মোহিত হয়েছিল বাইশ গজ।
[আরও পড়ুন: Rahul Dravid: ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্যই সিরিজ হার, মেনে নিলেন ‘দ্য ওয়াল’]
বিরাটের অনেক পরেই বাবরের ক্রিকেটীয় উত্থান। তবুও বাবর নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য উচ্চতায়। তাঁর সঙ্গে প্রায়ই চলে বিরাটের তুলনা। কিন্তু বাবর বুঝিয়ে ছিলেন যে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের ব্যাটিং মহারথীর প্রতি তাঁর সম্মান ঠিক কোন জায়গায়। বাবরের প্রতিও ঠিক একই শ্রদ্ধা বিরাটেরও। আর কিছুদিন পরেই এশিয়া কাপ। ২ সেপ্টেম্বর বাইশ গজের যুদ্ধে ‘মাদার অফ অল ব্যাটল’। এর আগে বিরাটের মুখে শোনা গিয়েছে বাবর বন্দনা।
এক টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরাট ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাবরের। তিনি বলেন, ‘বাবরের সঙ্গে আমার প্রথম কথা হয়েছিল ম্য়াঞ্চেস্টারে, ২০১৯ বিশ্বকাপে ম্যাচের পর। আমি সেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সময়ে থেকে পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিমকে চিনি। ইমাদই আমাকে এসে বলেছিল যে, বাবর আমার সঙ্গে নাকি কথা বলতে চায়। আমি আর বাবর, তারপর বসে কথা বলি। প্রথম দিন থেকেই ওর প্রতি আমার যে, শ্রদ্ধা রয়েছে, তা আজও বদলায়নি। এটা বাদ দিয়েই বলব যে, সব ফরম্য়াট মিলিয়ে বিশ্বের টপ ব্যাটারদের মধ্যে বাবর। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে চলেছে। ওর খেলা আমি সবসময় উপভোগ করেছি।’
এশিয়া কাপ শুরু ৩১ আগস্ট থেকে। চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে এই প্রথমবার হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। যার প্রস্তাব পাকিস্তান দিয়েছি। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও নেপাল অংশ নেবে এশিয়া কাপে। যুগ্মভাবে এশিয়ার সেরা হওয়ার লড়াই আয়োজন করবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও এশিয়া কাপের মূল আয়োজক পাকিস্তান। পাকিস্তানে হবে চারটি ম্যাচ ও দ্বীপরাষ্ট্রে হবে ন’টি ম্যাচ। গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচের পর খেলা গড়াবে সুপার ফোরে। সেখান থেকে ফাইনালে দুই দল।