সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেপটাউন টেস্টে ৭ উইকেটে জিতে সিরিজ ড্র করেছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে নিউল্যান্ডস স্টেডিয়ামে জয়ের মুখ দেখেছিল রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) দল। সেই টেস্ট জয়ের মূল কারিগর ছিলেন দুই তারকা পেসার জশপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah) ও মহম্মদ সিরাজ (Mohammad Siraj)। দুই ইনিংসে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন সিরাজ। অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬১ রানে ৬ উইকেট নেওয়ার সুবাদে সিরিজের সেরা হয়েছিলেন বুমরাহ। তবে তাই বলে মুকেশ কুমারের (Mukesh Kumar) পারফরম্যান্সকে একেবারেই হেলাফেলা করা যাবে না। কারণ দুই ইনিংসে মাত্র ৫৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নজর কেড়েছিলেন বাংলার (Bengal) পেসার। এরমধ্যে ছিল বিপক্ষ দলের অধিনায়ক ডিন এলগারের (Dean Elgar)উইকেট।
কিন্তু কোন মন্ত্রে সাফল্য পেয়েছিলেন মুকেশ? বঙ্গ পেসার বলছিলেন,”টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিল, আশাকরি তেমনই পূরণ করতে পেরেছি। আমি নিজের বোলিংয়ে সন্তুষ্ট। আমি পরিশ্রম করেছি। এবং লড়াইয়ের মূল্য পেয়েছি। সবচেয়ে বেশি যেটা ভালো লেগেছে, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
[আরও পড়ুন: ‘টিম ইন্ডিয়া সবচেয়ে কম সাফল্য পাওয়া দল!’, ভনের খোঁচার জবাবে পালটা দিলেন অশ্বিন]
সেঞ্চুরিয়ন ও কেপটাউনের পিচ অনেকটাই আলাদা ছিল। সেঞ্চুরিয়নে ব্যাপক বাউন্স। কেপটাউনে কিছু বল হাঁটু অবধি উঠছিল, আবার কোনওটা অনেক লাফিয়েছে। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে তাঁকে দলে রাখা হয়নি। তবে শার্দূল ঠাকুরের জায়গায় তাঁকে দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ দেওয়া হয়। আর সেই সুযোগেই বাজিমাত করেন মুকেশ।
তিনি ফের যোগ করেন,”ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার পিচের মধ্যে অনেক পার্থক্য। ভারতে ফুল লেন্থ চেষ্টা করলে বল হাওয়ায় সুইং হয়। কিন্তু কেপটাউনে ফুল লেন্থে বোলিং করলে শাস্তি পেতে হবে। সে কারণেই ব্যাক অব লেন্থ বোলিং করার চেষ্টা করেছি।”
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর এখন অতীত। আসন্ন ভারত সফরে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্ট ২৫-২৯ জানুয়ারি হায়দরাবাদে। ২-৬ ফেব্রুয়ারি বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় টেস্ট। তৃতীয় টেস্ট হবে ১৫-১৯ ফেব্রুয়ারি। খেলা হবে রাজকোটে। ২৩-২৭ ফেব্রুয়ারি হবে চতুর্থ টেস্ট। সেই ম্যাচ আয়োজিত হবে রাঁচিতে। পঞ্চম টেস্ট হবে ধরমশালায়। ৭-১১ মার্চ পর্যন্ত। এই হাই ভোল্টেজ সিরিজে মুকেশ সুযোগ পান কিনা সেটাই দেখার।