সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সেনা’ (পড়ুন, SENA-South Africa, Englnad, New Zealand, Australia) দেশগুলোর দ্বিচারিতা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। ক্রিকেটের ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম টেস্ট নিয়ে আলোচনা থেমে যাওয়ার নাম নেই। জশপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah) ও মহম্মদ সিরাজের (Mohammad Siraj) দাপটে মাত্র ৬৪২ বলেই শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। স্বভাবতই কাঠগড়ায় কেপটাউনের বাইশ গজ। যদিও শন পোলক তেমনটা মনে করেন না। তাঁর দাবি ছিল, কিউরেটর ভুল করে এমন উইকেট তৈরি করে ফেলেছেন। তবে মেজাজ হারানো গাভাসকরের দাবি, বিদেশি দলগুলো বিশেষ করে ‘সেনা’ দেশের সদস্যরা পিচ নিয়ে বছরের পর বছর ধরে দ্বিচারিতা করে চলেছে।
কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে প্রথম দিন ২৩ উইকেট পড়ে। যদিও দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার আগে পিচ রিপোর্টে প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক শন পোলক বলেছিলেন, “নিউল্যান্ডসের কিউরেটর ভুল করেছেন।” গাভাসকর অবশ্য এমন বক্তব্য মেনে নিতে পারছেন না। বলেছেন, “এটা অজুহাত ছাড়া আর কিছুই নয়।” তবে শন পোলক ফের দাবি করেছিলেন,”এমন পিচ তৈরি করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু বেশি ঘাস রেখে দেওয়া হয়েছে অথবা বেশি জল দেওয়া হয়েছে, যা শুকানোর যথেষ্ট সুযোগ পাওয়া যায়নি। তাই এমন পিচ তৈরি হয়েছে।” এদিকে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, বক্সিং ডে টেস্টে ভারতকে এক ইনিংস ও ৩২ রানে হারিয়ে দেওয়ার পর, কিউরেটের কাছে বার্তা গিয়েছিল যে, সিরিজ জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার আরও একটি ঘাসযুক্ত উইকেট লাগবে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় দলে সবাই মদ্যপান করে, বদনাম হয় আমার!’, কাদের দিকে আঙুল তুললেন ধোনির প্রাক্তন সতীর্থ?]
এমন খবর কানে আসতেই গর্জে ওঠেন গাভাসকর। তিনি বলেছেন, “কিউরেটর ভুল করেছে! আসলে এমন অজুহাত ‘সেনা’ দেশগুলোতেই দেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের কিউরেটররা এমন পিচ বানালে, সেটি ছলচাতুরি হয়ে যায়! এমনটাই কিন্তু গত বছর প্রথম দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়া নাস্তানাবুদ হওয়ার পর, ওদের প্রাক্তন এক অধিনায়ক দাবি করেছিলেন। আমাদের গ্রাউন্ডসম্যানরা এটি ইচ্ছাকৃত ভাবে করে! আর ‘সেনা’ দেশের গ্রাউন্ডসম্যানরা ভুল করে করে! এটি আসলে নিরপেক্ষ আম্পায়ার আসার আগের ঘটনার মতো। ওদের আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে ‘মানবিক ভুল’ বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হতো, আমাদের আম্পায়াররা ছিল প্রতারক।”
১৯৯২-৯৩ মরশুম থেকে ২০২৩-২৪। রামধনুর দেশে গত ৩২ বছরে ভারতের টেস্ট জয়ের সংখ্যা মাত্র ৫। এর মধ্যে রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে ২০০৬-০৭ মরশুমে প্রথমবার টেস্ট জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২০১০-১১ মরশুমে মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ১-১ ফলাফলে সিরিজ শেষ করেছিল ভারত। এর পর দুবার বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে এসেছিল জোড়া জয়। ২০১৭-১৮ মরশুমে টেস্ট জেতার পর ২০২১-২২ সফরে ফের তাঁর নেতৃত্বে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল দল। এবার অনেকেই আশা করেছিলেন প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়বে ভারত। তবে সেই স্বপ্ন সত্যি হল না। টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ ফলাফলে শেষ করার পর, একদিনের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। আর এবার টেস্ট সিরিজের ফলাফল দাঁড়াল ১-১। সেই স্মৃতি নিয়েই দেশে ফিরে এসেছে ‘মেন ইন ব্লু’ ব্রিগেড। তবে কেপটাউন টেস্ট নিয়ে বিতর্ক থামার নাম নেই।