সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক দ্বৈরথ মানেই রণং দেহী আবহ। বিনা যুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনী না ছাড়ার অঙ্গীকার। লড়াই বাইশ গজের। কিন্তু স্রেফ কি তা ব্যাট-বলের যুদ্ধ! মোটেও না। ক্রিকেটীয় হিসেব-নিকেশের বাইরে সেখানে মিশে থাকে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনও। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যত ওঠাপড়া, যত অভাব-অভিযোগ, পারস্পরিক দোষারোপ বছরের পর বছর জমা হয়ে থাকে, তারই জবাব দেওয়ার মঞ্চ হয়ে ওঠে এই বাইশ গজ। আর তাই ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই খেলার বাইরে অন্য কিছু, ভিন্ন মাত্রার। ক্রিকেটারাও তাই এখানে জওয়ান। আর জওয়ানরা শামিল ক্রিকেটারদের সমর্থন জোগাতে। সে ছবিই আরও একবার দেখা গেল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাক্কালে।
[মার্কিন ভিসা পেতে গেলে এবার দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত তথ্যও!]
গত এক বছরে পড়শি দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে ক্রমশ অবনতি হয়েছে। সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন হোক কিংবা ভারতীয় প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কূলভূষণ যাদবের ফাঁসির সাজা- প্রতি ক্ষেত্রেই দু’দেশের মধ্যে তীব্র চাপানউতোর চলছে। এই অবস্থাতেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে রবিবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। গোটা দেশ চাইছে মর্যাদার লড়াইয়ে প্রতিবেশী দেশকে যেন হারিয়ে দেন বিরাটরা।
[কীভাবে চার্জ দেওয়া উচিত স্মার্টফোনে?]
ইতিমধ্যে তাই শুরু হয়েছে যজ্ঞ। গোরখপুরের বাসিন্দারা সকাল থেকেই ভারতের জয় কামনা করে শুরু করেছেন পুজো-অর্চনা। পিছিয়ে নেই সেনা জওয়ানরা। ড্রাম বাজানো থেকে শুরু করে নাচানাচি, ভারতের নামে জয়ধ্বনি তুলে বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের সকাল থেকেই সমর্থন জানিয়ে চলেছেন তাঁরা। এদিকে এই উন্মাদনার আঁচ ছড়িয়েছে সেনাদের মধ্যেও। মাধব ওঝা নামে এক জওয়ানের কথায়, ‘সীমান্তেও যেমন আমরা পাক সেনাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছি, খেলার মাঠেও তারই পুনরাবৃত্তি হবে। সেখানেও আমরা পাকিস্তানকে হারিয়ে দেব। ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকানোর মতো ক্ষমতা ওদের নেই।’
The post ‘সীমান্তেও পাকিস্তান হেরেছে, ক্রিকেটেও ধরাশায়ী হবে’ appeared first on Sangbad Pratidin.