সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কেকেআরের (KKR) বিরুদ্ধে ম্যাচ আরসিবির। প্রথম ম্যাচকে ধরলে শ্রেয়স আইয়ার আর কোহলি দু’জনে উলটো মেরুতে দাঁড়িয়ে। শ্রেয়সের কেকেআর আইপিএলের (IPL 2022) প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে হেলায় হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করেছে। উলটো দিকে আরসিবি, প্রথম ম্যাচে তারা বিশাল ২০৫ তুলেও জিততে পারেনি পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে।
কেকেআরের খবরাখবর বলতে, নিউজিল্যান্ড পেসার টিম সাউদি (Tim Southee) এ দিন লম্বা সময় প্র্যাকটিসে বল করেছেন। টিমের সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার বলে গেলেন, ‘‘সাউদিকে খেলানো হবে কি না, সেটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর।” কোহলি নিয়েও প্রশ্ন গিয়েছে। কোহলিকে (Virat Kohli) কী করে থামাবেন, সেই প্রশ্ন। জবাবে অভিষেক বলে দেন, “কোহলিকে দ্রুত ফেরাতে চাইব। সেটা সম্ভব না হলে দেখব, যাতে আমাদের বড়সড় ক্ষতি ও না করতে পারে।” কিন্তু কোহলি, তিনি এ সব শুনছেন কোথায়?
[আরও পড়ুন: কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর, আইপিএলের প্লে-অফের ম্যাচ পাচ্ছে ইডেন!]
কোহলির মাথায় এবি, শুধুই এবি। ডি’ভিলিয়ার্সের আইপিএলকে বিদায় জানানোর মুহূর্তটা এখনও মনে করতে পারেন কোহলি। আরব আমিরশাহী (UAE) থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে ফিরছিল ভারত। তখনই কোহলি এখন ভয়েস বার্তা পান এবির থেকে। যেখানে এবি বলে দেন, তিনি আইপিএল আর খেলবেন না। তবে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয়, তার আগের আইপিএল থেকেই কোহলি আন্দাজ করতে পারছিলেন যে, কিছু একটা ঘটবে। এবি কিছু একটা করতে চলেছেন। “আমাদের ঘর পাশাপাশি ছিল। যখন বাইরে দেখা হত, ও বলত, চলো তোমার সঙ্গে এক কাপ কফি খাই। আমি নার্ভাস হয়ে যেতাম। ওর সঙ্গে বসতে চাইতাম না। কারণ, আমার মনে হত কিছু একটা ঘটবে,” বলতে বলতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কোহলি।
[আরও পড়ুন: লখনউয়ের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার! শামিকে শুভেচ্ছা জনপ্রিয় পর্নস্টারের]
কোহলি বা ডি’ভিলিয়ার্স দু’জনে জুটি বেঁধে আইপিএল জিততে পারেননি কখনও। কিন্তু যে প্রভাব বিস্তার করে গিয়েছেন, পরের পর রেকর্ড চুরমার করে, তা অতুলনীয়। দু’জনের আত্মিক যোগাযোগটাও দেখার মতো ছিল। “বললাম না, আমি আঁচ করতে পারছিলাম। ভাবলে খুব আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছিলাম। আমার খুব ভাল বন্ধু এবি। কত উত্থান-পতন একসঙ্গে সামলেছি আমরা। কিন্তু সব সময় আমার মনে হয়েছে, যাই হয়ে যাক, আমার পাশে এবি আছে। আর ওই ভয়েস নোট? জীবনে ভুলতে পারব না সেটা। ভয়েস নোটে এবি বলেছিল, দেখো আমার মধ্যে আর আগুনটা নেই।” ক্রিকেট মাঠে দেশজ হানাহানির কাঁটাতার পেরিয়ে ভ্রাতৃত্বের এমন বন্ধন ক’টা তৈরি হয়, জানা নেই। আর কোহলি-এবির ব্যাটিংয়ের মতোই এটাও বড় শিক্ষণীয়!