নর্থইস্ট ইউনাইটেড: ২ (মাচাদো, গ্যালেগো)
এটিকে মোহনবাগান: ১ (কৃষ্ণ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পুরনো ব্যর্থতা ভোগাল এটিকে মোহনবাগানকে। আক্রমণভাগে ক্ষিপ্রতার অভাবে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে হারের মুখ দেখতে হল সবুজ-মেরুন শিবিরকে। ২-১ গোলে হাবাস-ব্রিগেডকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এল খালিদ জামিলের নর্থইস্ট ইউনাইটেড (NorthEast United FC)। অন্যদিকে, এই ম্যাচ হারলেও পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে গেল সবুজ-মেরুন শিবির।
লড়াইটা ছিল পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ স্থানে থাকা দুটি দলের। ম্যাচ শুরুর আগে দু’দলের পয়েন্টের পার্থক্য ছিল ৯। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ছিল লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। আর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের স্থান ছিল তালিকার ছয় নম্বরে। তার উপর প্রথম লেগে এই দলকে ২-০ গোলে হারিয়েছিলেন হাবাসের ছেলেরা। সেসব পরিসংখ্যান দেখে অনেকেই এই ম্যাচের আগে এটিকে মোহনবাগানকে ফেভরিট হিসেবে ধরে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ফুটবল যে অনেক সময় ব্যাকরণ মানে না, সেটা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। ফাইনাল থার্ডে সুযোগ তৈরিতে ব্যর্থতার খেসারত দিতে হল এটিকে মোহনবাগানকে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হারের মুখ দেখতে হল দলকে।
[আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন বিরাট-শচীনরা, তবে ভাইরাল ওয়াসিম জাফরের টুইটটি!]
এদিন ম্যাচের শুরুটা ভালই করেছিল এটিকে মোহনবাগান। রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসদের বেশ ঝকঝকে দেখাচ্ছিল। কিন্তু মুশকিল হচ্ছিল সেই ফাইনাল থার্ডে। প্রথমার্ধে ফাইনাল থার্ডে সেভাবে পাস আসছিল না। সুযোগও তৈরি হচ্ছিল না খুব বেশি। খুব একটা চনমনে মনে হচ্ছিল না প্রবীর দাসকে। তবে, শেষদিকে গোল করার সোনার সুযোগ পান উইলিয়ামস। ফাঁকা জায়গায় তিনি বল পেলেও পা ছোঁয়াতে পারেননি।
[আরও পড়ুন: গত সাক্ষাতে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে হারালেও এই কারণেই আজ বিশেষ সতর্ক সবুজ-মেরুন]
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন করেন হাবাস। শুরুতেই নামিয়ে দেন মনবীরকে। যার ফলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও ভাল করেছিল সবুজ- মেরুন শিবির। কিন্তু, ৬০ মিনিটে ডিফেন্সের ভুলে খানিকটা খেলার গতির বিপরীতে গোল খেয়ে যায় সবুজ-মেরুন শিবির। গোল করে নর্থইস্টকে এগিয়ে দেন মাচাদো। মাচাদোর গোল নিয়ে অবশ্য বিতর্কও হয়েছে। কারণ, বলটি দখল করার আগে নর্থইস্টের স্ট্রাইকার যেভাবে তিরিকে পুশ করেন, তা ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী ফাউল বলেই দাবি সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। গোল হজম করার পর প্রবীরকে তুলে নিয়ে কোমল থাটালকে নামান হাবাস। সেই থাটালের পাস থেকেই ৭২ মিনিটে গোল শোধ করেন কৃষ্ণ। গোল শোধ করার পর ফের এটিকে মোহনবাগানকে চনমনে দেখাচ্ছিল। ৭৫মিনিটে কৃষ্ণ আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু কোমলের বাড়ানো বলে তিনি পা ছোঁয়াতে পারেননি। ৮০ মিনিটে কোমলেরই শট নর্থইস্টের গোললাইন থেকে প্রতিহত হয়। এরপর ফের খেলার গতির বিপরীতে গোল পেয়ে যায় নর্থইস্ট। এবারে বিশ্বমানের গোল করেন গ্যালেগো। ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে প্রতি আক্রমণের চেষ্টা করলেও, আর গোল করতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান।