সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো পারফর্ম করে প্রচারের আলোয় উঠে এসেছিলেন ভারতের দুই জ্যাভলিন থ্রোয়ার কিশোর জেনা এবং ডিপি মানু। এবার অ্যাথলেটিক্স ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের (এআইইউ) বিশেষ তালিকা রেজিস্ট্রার্ড টেস্টিং পুলেও (আরটিপি) নাম উঠল তাঁদের। নতুন বছরের প্রথম দিনই চলতি ত্রৈমাসিকের তালিকা প্রকাশ করেছে AIU। সেখানে নতুন সংযোজন তাঁদের নাম।
অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ডোপিং রুখতে কাজ করে এআইইউ। ওয়াডার (WADA) অধীনে খেলোয়াড়দের ডোপ পরীক্ষার কাজ করে তারা। এআইইউ-র আরটিপি-তে মূলত বিশ্বের প্রথমসারির অ্যাথলিটদের নাম থাকে। আপাতত এই তালিকায় নাম রয়েছে মাত্র পাঁচ ভারতীয় অ্যাথলিটের। তাঁরা হলেন দুই জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra) ও অন্নু রানি, দুই লংজাম্পার মুরলি শ্রীশঙ্কর ও জেসউইন অলড্রিন এবং স্টিপলচেজার অবিনাশ সাবলে। এবার তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হল কিশোর ও মানুর নামও। হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে গত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জ্যাভলিন থ্রোয়ে নীরজের সোনা জয়ের পাশাপাশি পঞ্চম স্থানে শেষ করেছিলেন কিশোর, ষষ্ঠ হয়েছিলেন মানু। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এর আগে কোনওদিন জ্যাভলিন থ্রোয়ের প্রথম ছয়ে তিন ভারতীয় জায়গা করে নিয়েছেন, এমনটা হয়নি। পাশাপাশি হাংঝৌ এশিয়ান গেমসেও রুপো জিতেছেন কিশোর। এরপরই আরটিপি-তে যোগ করা হল তাঁদের নাম।
[আরও পড়ুন: কামদুনি মামলায় এখনই গ্রেপ্তার নয়, সব পক্ষের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট]
আরটিপি-তে নাম থাকার অর্থ, অ্যাথলিটের ‘হয়ারঅ্যাবাউটস’ জানবে এআইইউ। ‘হয়ারঅ্যাবাউটস’-এর অর্থ তাঁদের ঠিকানা, যোগাযোগের নম্বর, ই-মেল, কোথায় অনুশীলন করছেন, কোন কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন- এই সব তথ্য। প্রতি তিনমাস এই তথ্য অন্তর জানাতে হবে এআইইউ-কে। যে কোনও সময় ডোপ টেস্ট দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। প্রতিদিন ৬০ মিনিট একাজের জন্য বরাদ্দ করতে হবে অ্যাথলিটদের। নির্ধারিত ডোপ টেস্টে হাজির না হলে তা ‘মিসড টেস্ট’ হিসাবে গণ্য করা হয়।
এক বছরের মধ্যে তিনবার ‘হয়ারঅ্যাবাউটস’ না জানানো বা ‘মিসড টেস্টের’ মতো ঘটনা ঘটলে কড়া শাস্তির মুখে পড়বেন অ্যাথলিট। এমনকী তাঁদের দু’বছরের জন্য সাসপেন্ডও করা হতে পারে। অতএব, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্বও বাড়ল কিশোর-মানুর, তা বলাই বাহুল্য।