সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মতোই বিশ্বকাপ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে কেরলেও। নিজেদের প্রিয় তারকার কাটআউট, পছন্দের দলের পতাকা দিয়ে শহরের নানা প্রান্ত ঢেলে সাজিয়েছেন শয়ে শয়ে ফুটবল ভক্তরা। রাত জেগে চলছে সেলিব্রেশন। কিন্তু এই আনন্দের মাঝেই মুসলিম সংগঠনের হুমকির মুখে পড়তে হল ফুটবল অনুরাগীদের। ওই সংগঠনের দাবি, ফুটবলারদের পুজো করা ইসলাম বিরোধী।
বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) নিয়ে কেরলে যে হারে পাগলামো শুরু হয়েছে, তা নিয়ে একপ্রকার বিরক্তিই প্রকাশ করেছেন মুসলিম সংগঠন কুতবা কমিটির সচিব নসর ফৈজি কুদাথায়ী। বিশ্বকাপে বল গড়ানোর আগেই সে রাজ্যে মেসি-রোনাল্ডো-নেইমারের বিরাট কাটআউটের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। মুসলিম সংগঠনের দাবি, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের মতো দলগুলির জন্য এত টাকা খরচ করার কোনও মানেই হয় না। এমনকী তিনি এও দাবি করেন, কাতার বিশ্বকাপের জন্য পড়ুয়ারা লেখাপড়ায় মন দিচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: এবার থেকে বিশ্বকাপে থাকবে ‘মারাদোনা দিবস’, ঘোষণা ফিফা প্রেসিডেন্টের]
এখানেই শেষ নয়, পর্তুগালের পতাকা ওড়ানো নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ওই সংগঠন। কুতবা কমিটির সচিবের কথায়, “বিশ্বের বহু দেশে নিজেদের উপনিবেশ তৈরি করেছিল পর্তুগিজরা। তাই পর্তুগালের পতাকা ওড়ানো উচিত নয়। স্পোর্টসম্যান স্পিরিট নিয়েই খেলা দেখা উচিত। কিন্তু বর্তমানে সকলে রীতিমতো ফুটবলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এটা ভাল লক্ষণ নয়।” তাঁর মতে, শুধুমাত্র শরীর সুস্থ রাখতেই খেলার প্রচার হওয়া উচিত। এভাবে অকারণ অর্থ খরচ পাগলামো ছাড়া আর কিছুই না।
বিশ্বকাপের মরশুমে কেরলের পরিস্থিতি নিয়ে কুদাথায়ী বলে দেন, “নিজেদের দেশকে না ভালবেসে অনেকে অন্য দেশ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়িয়েছে। অন্য দেশের ফুটবলারদের পুজো করছে। মানুষকে এভাবে পুজো করাকে ইসলাম সমর্থন করে না।” মুসলিম সংগঠনের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি। তিনি বলেন, ফুটবল কিংবদন্তিদের অনুসরণ করা কিংবা তাঁদের পুজো করার বিষয়টি যে কোনও অনুরাগীর একান্ত নিজস্ব পছন্দ। এখানে অন্য কারও কোনও বক্তব্য থাকতে পারে না। তবে কাতারের মহারণের মধ্যেই যে ফুটবল ভক্তদের সেলিব্রেশনে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মুসলিম সংগঠন, তা বেশ স্পষ্ট।