বাংলাদেশ: ২২৭ (মমিনুল ৮৪, মুশফিকুর ২৬, উমেশ ৪-২৫, অশ্বিন ৪-৭১)/ ২৩১ (লিটন ৭৩, জাকির ৫১, অক্ষর ৩-৬৮)
ভারত: ৩১৪ (পন্থ ৯৩, আইয়ার ৮৭, শাকিব ৪-৭৯)/ ১৪৫-৭ (অশ্বিন ৪২, অক্ষর ৩৪, মেহেদি ৫-৬৩)
ভারত ৩ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশ্বিনের (Ravi Ashwin) ধীরস্থির মস্তিষ্ক এবং শ্রেয়স আইয়ারের ছোট অথচ দামি ইনিংস। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হারের লজ্জা থেকে বাঁচিয়ে দিল ভারতকে। সমর্থকদের রক্তচাপ বাড়িয়েও মীরপুর টেস্ট (Mirpur Test) ৩ উইকেটে জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া।
রবিবার অর্থাৎ মীরপুর টেস্টের চতুর্থ দিন খেলতে নামার আগে ভারতের স্কোর ছিল ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৪৫ রান। জয়ের জন্য দরকার ছিল আরও ১০০ রান। বাংলাদেশ স্পিনারদের ঘূর্ণিঝড় সামলে এই লক্ষ্যে পৌঁছানোটা যে খুব একটা সহজ কাজ হবে না, সেটা শনিবারই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মীরপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমবারের জন্য টেস্ট হারার আশঙ্কা আরও প্রবল হয়ে ওঠে এদিন সকালে খেলা শুরু হওয়ার পর। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার জয়দেব উনাদকাট (Jaydev Unadkat) ফিরে যান সাতসকালেই। দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ঋষভ পন্থও। আগের দিন যে অক্ষর প্যাটেলকে ঝকঝকে দেখাচ্ছিল, তিনিও বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। যার ফলে মাত্র ৭৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় ভারত। তখনও জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭১ রান।
[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দল থেকে বাদ পড়ছেন কেএল রাহুল! স্ক্যানারে বিরাটের পারফরম্যান্সও]
উনাদকাট এবং পন্থরা (Rishabh Pant) প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে অবশ্য একটা কাজ করেছিলেন। ক্রিজে থিতু হয়ে দাঁড়িয়ে না থেকে বাংলাদেশ বোলারদের পালটা আক্রমণের রাস্তা দেখিয়ে গিয়েছিলেন। সেই পথেই এগোলেন শ্রেয়স এবং অশ্বিন। আর তাতেই এল সাফল্য। অষ্টম উইকেটের জুটিতে দুই ব্যাটার ঠান্ডা মাথায় ভারতকে পৌঁছে দিল নির্ধারিত লক্ষ্যে। অশ্বিন করলেন ৪২ রান। আর শ্রেয়স করলেন ২৯। বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মাত্র ৬৩ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। শাকিব পান দুটি উইকেট।
[আরও পড়ুন: জমে গেল ঢাকা টেস্ট, ঘূর্ণি পিচে ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ধুঁকছে ভারত]
জয়ের ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও দখল করল ভারত। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে টিকে রইল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। এবার ঘরের মাঠে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজটাই আসল পরীক্ষা হতে চলেছে ভারতীয় দলের জন্য। টেস্টে চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে হলে ওই সিরিজ ৩-০ বা ৩-১ ব্যবধানে জিততে হবে টিম ইন্ডিয়াকে।