সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ডের (India vs England) কাছে হেরে বিশ্বকাপ (T20 World Cup) সেমিফাইনালেই দৌড় শেষ হয়ে গিয়েছে ভারতের। মেগা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে ভারত। হারের অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে আসছে কে এল রাহুলের (KL Rahul) জঘন্য ফর্ম। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ব্যর্থ হয়ে চলেছেন ভারতীয় ওপেনার। বুধবার মরণবাঁচন ম্যাচে মাত্র ৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। লাগাতার ব্যর্থ হতে থাকা রাহুলকে বাদ দেওয়া হোক, বেশ কিছুদিন ধরেই এই দাবি তুলছিলেন নেটিজেনরা। সেমিফাইনালে ভারতের হারের পরে ফের জোরাল হয়ে উঠল ক্রিকেটপ্রেমীদের এই দাবি। দেশ থেকেও বের করে দেওয়া হোক রাহুলকে, এমনও কথা বলেছেন নেটিজেনরা।
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে থেকেই রাহুলের ফর্ম নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল। তবে সমর্থকরা আশা করেছিলেন, বড় টুর্নামেন্টে জ্বলে উঠবেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে তার উলটো। পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা-প্রত্যেকটি দলের বিরুদ্ধেই ব্যর্থ ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল বাংলাদেশ ও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। কিন্তু যে সময়ে বড় রান করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে দল, সেই সময়েই ডাহা ফেল রাহুল। নেটিজেনদের মতে, “এখনই সমস্ত ফরম্যাটের দল থেকে বাদ দেওয়া হোক রাহুলকে। ওপেন করতে গিয়ে তাঁর ব্যাটিংয়ের জন্যই ভুগতে হয়েছে ভারতীয় দলকে।” বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে মাত্র ১২৮ রান করেছেন রাহুল।
[আরও পড়ুন:সেমিফাইনালে ভরাডুবির দায় কার? ভারতের হারের সম্ভাব্য পাঁচ কারণ]
রাহুলকে নিয়ে অজস্র মিম ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। কোনওটায় তাঁকে সর্বকালের সেরা চোকারের তকমা দেওয়া হয়েছে। কোথাও বা আবার বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকলেই রাহুল ব্যর্থ হন। আবার বলা হয়েছে, মাঠে নেমে রাহুলের একটাই কাজ, তাড়াতাড়ি আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়া। নেটিজেনদের একাংশ এমনও বলেছেন, অবিলম্বে রাহুলের ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হোক।
বিশ্বকাপে আদৌ সঠিক ওপেনিং জুটি নিয়ে খেলতে নামেনি ভারত, এমনই দাবি করেছেন নেটিজেনদের অধিকাংশ। রাহুলের পরিবর্ত হিসাবে পৃথ্বী শ বা ইশান কিষানের কথা বলছেন অনেকেই। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট বরাবরই রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছে। ব্যর্থ হওয়া সত্বেও তাঁকেই টানা খেলিয়ে গিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়রা। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও রাহুলের সমর্থনেই ব্যাটিং করেছেন ভারতীয় কোচ। সব মিলিয়ে, ভারতীয় ক্রিকেটে রাহুলের ভবিষ্যৎ যথেষ্ট মেঘাছন্ন।