সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় পাকিস্তান সুপার লিগের চ্যাম্পিয়ন লাহোর কালান্দার্স (Lahor Qalandars)। PSL-এর এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি শুরু হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। কারণটা আজব।
আসলে পাকিস্তান সুপার লিগের চ্যাম্পিয়নরা এ বছর দলের ক্রিকেটারদের ভাল পারফরম্যান্সের জন্য আর্থিক পুরস্কারের বদলে বিশেষ বিশেষ পুরস্কার দিচ্ছে। সেগুলি কী? নাতো কেউ পাচ্ছেন জমি, কাউকে দেওয়া হচ্ছে আইফোন ১৪। কাউকে হয়তো অন্য কিছু দেওয়া হচ্ছে। মোট কথা, কেউই আর্থিক পুরস্কার পাচ্ছেন না। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, ডেভিড ভিসেকে দেওয়া হয়েছে আইফোন ১৪। আবার রশিদ খান, স্যাম বিলিংসের (Sam Bilings) মতো বিদেশি ক্রিকেটারদের দেওয়া হয়েছে জমির মালিকানা।
[আরও পড়ুন: ‘রাহুল গান্ধী বর্তমানের মীরজাফর’, আক্রমণ বিজেপির, পালটা দিল কংগ্রেস]
এই নিয়েই হাসাহাসি শুরু হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। নেটিজেনদের বক্তব্য, পাকিস্তান এখন এতটাই গরিব যে ক্রিকেটারদের পুরস্কারমূল্যটাও দিতে পারছে না। কেউ কেউ আবার বলছে, এরা ইচ্ছা করেই বিদেশি ক্রিকেটারদের জমি দিচ্ছে। এই জমি বিদেশি ক্রিকেটাররা তো আর নিতে আসবেন না। শেষে নিজেরাই দখল করে নেবেন। কারও কারও রসিকতা, পাকিস্তানের যা পরিস্থিতি তাতে পরের বছর পিএসএলে কেউ ভাল খেললে তাঁকে পেস্তা-বাদামের মতো জিনিস দেওয়া হবে। যদিও পিএসএলের ওই দলের দাবি, নেহাত অভিনবত্ব আনতেই ক্রিকেটার এভাবে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পিছনে কোনও আর্থিক কারণ নেই।
[আরও পড়ুন: ‘আদানিকে গ্রেপ্তার করা হোক’, দাবি তুলে দিল্লিতে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে TMC]
পাকিস্তান সুপার লিগের (Pakistan Super League) ফাইনালে মহম্মদ রিজওয়ানের মুলতান সুলতানের বিরুদ্ধে নেমেছিল লাহোর কালান্দার্স। শেষ বলের থ্রিলারে মাত্র ১ রানে মূলতানকে হারায় লাহোর। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লাহোরের অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০০ রান তোলে শাহিনের দল। ২০১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুলতান সুলতানস ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রানে আটকে যায়।