কেরল, প্রথম ইনিংস: ২৬৫/৪ (শচীন ১১০*, অক্ষয় ৭৬*, জলজ সাক্সেনা ৪০, সূর্য ১/৪০, আকাশদীপ ১/৫৫)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে চলতি রনজি ট্রফির (Ranji Trophy 2023-24) নক আউটে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। গত ম্যাচে ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে মুম্বইয়ের (Mumbai) বিরুদ্ধে এক ইনিংস ও ৪ রানে হেরে গিয়েছিল মনোজ তিওয়ারির (Manoj Tiwary) দল। এমন প্রেক্ষাপটে কেরলের (Kerala) বিরুদ্ধে নেমেছে বঙ্গব্রিগেড (Bengal)। তবে বিপক্ষকে চাপে রাখার বদলে প্রথম দিনের খেলার শেষে ব্যাপক চাপে লক্ষ্মীরতন শুক্লার (Laxmi Ratan Shukla) ছেলেরা। সৌজন্যে শচীন বেবির (Sachin Baby) অপরাজিত শতরান। সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson) ব্যর্থ হলেও, বাঁহাতি শচীন ও অক্ষয় চন্দ্রনের (Akshay Chandran) অপরাজিত জুটির উপর ভর করে ৯০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান তুলে ফেলেছে কেরল।
থুম্বার সেন্ট জেভিয়ার কলেজ গ্রাউন্ডের চেনা পিচে টস জিতেছিলেন সঞ্জু। ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে ওপেনার রোহন কুন্নুমালকে (১৯) ফিরিয়ে বাংলাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সূর্য সিন্ধু জসওয়াল। ২৬ রানে ১ উইকেট হারায় কেরল। এর পর ৪০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় সঞ্জুর দল। আকাশদীপের বলে উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান রোহন প্রেম (৩)।
[আরও পড়ুন: বিরাট-ফ্যাফ ডু প্লেসিস নন, আইপিএলে সেরা ওপেনিং জুটি কোনটা? জানালেন গাভাসকর]
বহু যুদ্ধের নায়ক জলজ সাক্সেনা শুরুটা ভালো করলেও, ব্যক্তিগত ৪০ রানে আউট হন। অঙ্কিত মিশ্রর বলে আউট হন এই অলরাউন্ডার। ৮২ রানে ৩ উইকেট হারাতেই কেরলের চাপ বেড়ে যায়। এর পর সঞ্জুকে (৮) ফিরিয়ে কেরলকে বড় ধাক্কা দেন মরশুমের প্রথম রনজি ম্যাচ খেলতে নামা শাহবাজ আহমেদ। কেরলের অধিনায়কের ক্যাচ ধরেন মনোজ। সঞ্জু ফিরতেই ১১২ রানে ৪ উইকেট হারায় কেরল।
তখন স্কোরবোর্ড দেখে মনে হচ্ছিল কেরলের অলআউট হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সব হিসেব বদলে দিলেন শচীন বেবি। একটা সময় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলা শচীন প্রবল চাপের মুখেও দারুণ ব্যাটিং করলেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন অক্ষয়। দুজন দিনের বাকিটা সময় অনায়াসে খেলে দিতেই পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছেদ্য ১৫৩ রান তুলে দেন। শচীন ২২০ বলে ১১০ রানে ক্রিজে রয়েছেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১০টি চার ও ১টি ছক্কা। অন্যদিকে অক্ষয় ১৫০ বল খেলে ৭৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। মেরেছেন ৭টি চার। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনও কেরলের দুই ব্যাটার দাপট দেখালেন বাংলার চাপ যে আরও বাড়বে সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।