সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand) বিরুদ্ধে আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। তবে নিয়মরক্ষার ম্যাচে খেলতে নেমেও দাপটের সঙ্গে ব্যাট করলেন ভারতীয় ওপেনাররা। তৃতীয় ওয়ানডেতে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকালেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও শুভমন গিল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরে আবারও চেনা ছন্দে ভারতীয় ওপেনার। শেষ চারটি ম্যাচের তিনটিতেই সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি। সেই সঙ্গে বিরাট কোহলির নজির ভাঙলেন শুভমন (Shubhman Gill)। তবে সামান্য সময়ের ব্যবধানে আউট হয়ে যান দুই ব্যাটারই।
মঙ্গলবারের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজ ব্যাটিং শুরু করেন রোহিতরা। ২০২১ সালের পর এদিনই প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন ভারত অধিনায়ক। মাত্র ৮৪ বলে শতরান করেন তিনি। ছয় ছক্কা, ন’টি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল হিটম্যানের ইনিংস। সেঞ্চুরির পরেও আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি। বড় শট নিতে গিয়ে ১০১ রানেই আউট হয়ে যান রোহিত।ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রায় তিন বছর পর শতরান করলেন হিটম্যান। ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলতে গিয়ে শেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত। এদিনের ইনিংসের পর রিকি পন্টিংয়ের সমসংখ্যক সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশের অধিনায়ক বাবর, জায়গা পেলেন ২ ভারতীয়]
ক্রিজের অন্যদিকের একই ছন্দে ছিলেন শুভমন গিল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর গত ম্যাচেও অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। নিজের স্বপ্নের ফর্ম ধরে রেখে মঙ্গলবার ফের শতরান করলেন। সেই সঙ্গে বিরাট কোহলির নজির ভেঙে নয়া রেকর্ডও গড়েন শুভমন। একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড ছিল বিরাট কোহলির। চলতি বছরেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দু’টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ২৮৩ রান করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার হাফ সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে সেই রেকর্ড পেরিয়ে গেলেন শুভমন। তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বাধিক ৩৬০ রান করার নজির ছিল বাবর আজমের। সেই রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেললেন শুভমন।
তবে এদিন ১১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় গিলকে। রোহিত আউট হওয়ার মাত্র দুই ওভারের মধ্যেই গিলের উইকেট পড়ে গিলের। টিকনারের ডেলিভারি ব্যাটের কানায় লেগে সোজা উঠে যায়। সহজ ক্যাচ ধরে গিলকে আউট করেন কনওয়ে। ক্রিজে নেমে বড় রানের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন বিরাট কোহলিও।
[আরও পড়ুন: সাকলিনের মেয়েকে বিয়ে করলেন শাদাব খান, ‘ভাবির জন্য চিন্তা হচ্ছে’, রসিকতা সতীর্থ ইমাম উল হকের]