সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর প্রতিভা নিয়ে কোনওদিন কারও সন্দেহ ছিল না। তবে ধারাবাহিকতা এবং আন্তর্জাতিক স্তরে চাপের মুখে রান করা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছিল। তবে পার্লে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের শেষ ম্যাচে নিজের জাত চেনালেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে করলেন প্রথম সেঞ্চুরি। ১১৪ বলে ১০৮ রান করলেন সঞ্জু। ৯৪.৭৩ স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে মারলেন ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা।
এমন মারকুটে ইনিংসের সৌজন্যেই প্রোটিয়া শিবিরকে ৭৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে কেএল রাহুলের (KL Rahul) টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ম্যাচের সেরা হয়েছেন সঞ্জু। তবুও তাঁর কথায় ঘুরেফিরে আসছে জাতীয় দলে ব্রাত্য থাকার প্রসঙ্গ। ম্যাচের শেষে কেরলের ব্যাটার বলছিলেন, “গত তিন-চার মাস মানসিকভাবে খুব খারাপ জায়গায় ছিলাম। কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলাম। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে এই সেঞ্চুরি আমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”
[আরও পড়ুন: রাবাদা-মার্কো জ্যানসেনদের বিরুদ্ধে নামার আগে কোন সমস্যা কাটিয়ে ফেলেছেন রোহিত?]
বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) আগে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন সঞ্জু। সেঞ্চুরি না করলেও, সেই ১৩টি ইনিংসে ৫৫.৭০ গড়ের সঙ্গে স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৪। তবুও তাঁকে কাপযুদ্ধের দলে সুযোগ দেওয়া হয়নি। বরং টিম ম্যানেজমেন্ট অনেক বেশি ভরসা দেখিয়েছিল সূর্য কুমার যাদব (Suryakumar Yadav) ও ঈশান কিষানের (Ishan Kishan) প্রতি। অবশ্য বিশ্বকাপ তো অনেক দূরের কথা, সঞ্জুকে এশিয়ান গেমসের দলেও ভাবনাচিন্তা করেনি জাতীয় নির্বাচক কমিটি। যদিও অতীতের অন্ধকার দিনগুলো ভুলে এবার প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে নিজেকে মেলে ধরলেন সঞ্জু।
অবশ্য ফিরে আসার লড়াইয়ে সফল হওয়ার জন্য বাবা স্যামসন বিশ্বনাথের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সঞ্জু। তিনি ফের যোগ করেন, “আমার বাবা শুধু প্রাক্তন পুলিশ নন, একটা সময় চুটিয়ে দিল্লির হয়ে ফুটবল খেলেছেন। কঠিন সময় বাবা আমাকে আগলে রাখত। নিজের জীবনে পাওয়া যন্ত্রণার কথা বলে আমাকে উদ্বুদ্ধ করত। সেটাই আমার মানসিক জোর বাড়িয়েছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই গত বছর ৮৬ রানের ইনিংস, এর আগে সঞ্জুর একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল। সেই রান টপকে গেলেন। তিনি যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাটিং করা পছন্দ করেন, তা বলাই বাহুল্য।