সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর ভারতীয় ডিফেন্ডারদের জন্য দারুণ মরশুম ছিল। ন’টি ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতে পেরেছিল ভারতীয় দল। এবার ইগর স্টিমাচের সেই রক্ষণই মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বকাপ খেলে আসা শক্তিশালী দলের। যদিও শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খোলা মনে খেলতেই দলকে নির্দেশ দিয়েছেন ইগর স্টিমাচ। অতীতেও ভারতীয় ডিফেন্ডাররা নিজেদের প্রমাণ করেছেন। ইতিহাস বলছে ভারত সবসময় এশীয় স্তরের ডিফেন্ডার উপহার দেয়। অতীতে গোষ্ঠ পাল থেকে জার্নেল সিং কিংবা সৈয়দ নইমুদ্দিন, ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে তার ধারা। পরবর্তী সময়ে ভারতীয় দলে রক্ষণের হাল ধরেছেন সন্দেশ জিঙ্ঘানরা। সেই সন্দেশ জিঙ্ঘানদের (Sandesh Jhingan) কাছে এবার বড় পরীক্ষা এশিয়ান কাপ (AFC Asian Cup)। আসন্ন প্রতিযোগিতায় গত বছরের ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই লক্ষ্য এই ভারতীয় ডিফেন্ডারের।
এশিয়ান কাপে নামার আগে সন্দেশ বলেন, “আমরা ভাগ্যবান যে এমন ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছি। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ যথেষ্টই ইতিবাচক। যেটা খুব জরুরি। এখানে আসার জন্য যথেষ্টই পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাদের। অবশেষে মূল পর্বে নামতে পারছি। এটা সত্যি আমাদের কাছে গর্বের বিষয়।” ২০১৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া সন্দেশ ইতিমধ্যেই দেশের হয়ে সাতটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। এখনও পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৬০টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করে ফেলেছেন এই রক্ষণের ফুটবলারটি। তিনি যখন জাতীয় দলে এসেছিলেন তখন রক্ষণে ছিলেন অর্ণব মণ্ডল, আদিল খানরা। তাঁদের পরবর্তী সময়ে সন্দেশ এখন ভারতীয় রক্ষণের অন্যতম ভরসা।
[আরও পড়ুন: কতটা ক্রিকেট খেলতে চান? শামিকে সরাসরি প্রশ্ন করবে বিসিসিআই]
সন্দেশ বলেন, “আমি সত্যিই সেন্টার-ব্যাক পজিশনে খেলতে পছন্দ করি। আমার পজিশনটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনাকে রক্ষণের অন্য ফুটবলারদের সঙ্গে সঠিক রসায়নটা খুঁজে বের করতে হবে। আমি ভাগ্যবান, যে সময়ে খেলা শুরু করেছি তখন সেরা কয়েকজন রক্ষণের ফুটবলারকে পাশে পেয়েছিলাম। যখন আমি প্রথম জাতীয় দলে ডাক পাই সেটা ছিল ২০১৩ সাল। আমি দলের চতুর্থ ব্যাক হিসাবে ডাক পেয়েছিলাম। তখন গৌরমাঙ্গি সিং ছিলেন রক্ষণের নিয়মিত ফুটবলার। পাশে অর্ণব মণ্ডল, রাজু গায়কোয়াড়রা। এখন মাঙ্গি ভাই আমার ক্লাবের কোচ। আমি ভাগ্যবান এইরকম বড় মাপের ফুটবলারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়েছি।”
সন্দেশ গত বছর ন’টি ক্লিনশিট রাখার কৃতিত্ব দিচ্ছেন সহকারী কোচ মহেশ গাওলিকে। যিনি নিজেও একটা সময় জাতীয় দলে রক্ষণের অন্যতম অস্ত্র ছিলেন। সন্দেশ বলেন, “মহেশ ভাইয়ের সম্পর্কে আলাদা করে বলার কিছু নেই। ওঁর অভিজ্ঞতা থেকে আজও আমরা অনেক কিছুই শিখতে পারি। এই ন’টি ম্যাচে ক্লিনশিট রাখার পিছনে ওঁকে কৃতিত্ব দিতে হবে আমাদের। মহেশ ভাই পর্দার আড়াল থেকে কাজ করে গিয়েছেন।” এশিয়ান কাপে ভারতের প্রথম প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। পরের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান। গ্রুপ লিগের শেষ প্রতিপক্ষ সিরিয়া। গোটা দলেরই লক্ষ্য ভালো ফলাফল করা এখন এই তিন ম্যাচে।