সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৫ থেকে ফ্রান্সে জঙ্গি হামলায় প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল নিস-হামলা। ক্রমাগত জঙ্গি হামলায় বিধ্বস্ত ফ্রান্সে জাতিবিদ্বেষ, বর্ণবিদ্বেষ যেন নতুন করে জন্ম নিয়েছে। অনেকে প্রত্যাশা করেছিলেন বিশ্বকাপের জয় এসব ভুলিয়ে আবারও এক ছাতায় তলায় আনবে গোটা ফ্রান্সকে। প্যারিসে হাজারো সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখলে হয়তো সাময়িকভাবে মনে হবে সংহতির কাজটি করে দিয়েছেন পোগবা, কন্তেরা।
কিন্তু প্রদীপের নিচে অন্ধকার সেই রয়েই গেল। প্যারিস, মার্সেই, নিস দেশের সব প্রান্ত থেকেই খবর এল হিংসার। কোথাও পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি অত্যুৎসাহী সমর্থকদের। কোথাও আবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়িতে। স্থানীয় সুত্রের খবর, এসব গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফল।
[বিশ্বজয়ের রাতে কলকাতায় এক টুকরো প্যারিসকে চেনাল ‘দ্য পার্ক’]
[বিশ্বকাপের সফল আয়োজন, বিদেশি সমর্থকদের পুরস্কার দিলেন পুতিন]
কিন্তু এসবই কি শুধু জয়ের আনন্দে নাকি এর মধ্যে রয়েছে অন্য কোনও সমীকরন? আসলে গত ২ বছরের সন্ত্রাস তথাকথিত আদি ফ্রেঞ্চদের মধ্যে তৈরি করেছে আতঙ্কের পরিবেশ। রীতিমতো ইসলাম বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। বিশ্বকাপজয়ী দলের সাতজন ফুটবলার মুসলিম। যার গোলে ফ্রান্সের জয় নিশ্চিত হয় সেই পল পোগবা নিজেও ইসলাম ধর্মাবলম্বী। শুধু এবারই নয়, ১৯৯৮’এ ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের নায়কও জিদানও ছিলেন মুসলিম। প্যারিসে ফ্রান্সের জাতীয় সৌধ আর্ক দে ট্রাওম্ফে তাই দুই মুসলিম মহাতারকার ছবি ভেসে ওঠে বিশ্বজয়ের মুহূর্তে। তখন ইসলাম বিদ্বেষীদের অনেকেই হয়তো তা সহ্য হয়নি। সেলিব্রেশনের পরে হিংসার ঘটনা হয়তো তারই ফলশ্রুতি।
The post বিশ্বজয়ের দিনেও মুসলিম বিদ্বেষের ছবি ফ্রান্সে, দেশজুড়ে বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা appeared first on Sangbad Pratidin.