সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী কয়েক মাস ভারতীয় দলের (Indian Football Team) জন্য খুবই কঠিন হতে চলেছে। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার (2026 World Cup Qualifier) ও এশিয়ান কাপের (Asian Cup 2027) বাছাই পর্বে ভারতের প্রতিপক্ষ কুয়েত ও কাতার। সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)-সন্দেশ জিঙ্ঘানরা (Sandesh Jinghan) ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। তবে কঠিন লড়াইয়ের আগে চিন্তায় হেড কোচ ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac)।
এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচটি হবে কুয়েত সিটিতে জাবের আল আহমেদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচের পরে ভারতীয় দল দেশে ফিরে আসবে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে কাতারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলার জন্য। এই দুই ম্যাচের জন্য ভারতীয় দলের প্রস্তুতি শিবির হয়েছে দুবাইয়ে।
এবারের বাছাই পর্বে ভারতের গ্রুপে তাদের চেয়ে ক্রমতালিকায় ওপরে থাকা একমাত্র দল কাতার। বাকি দু’টি দল ক্রমতালিকায় তাদের চেয়ে নীচে রয়েছে। প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল তৃতীয় রাউন্ডে উঠবে। ফলে ভারতের তৃতীয় রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। বাছাই পর্বে ভারতের লড়াই শুরু হবে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে যেখানে মোট ৩৬টি দলকে ৯টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গ্রুপে থাকবে চারটি দল। যেমন ‘এ’ গ্রুপে আছে কাতার, কুয়েত, ভারত এবং আফগানিস্তান। প্রতি দল হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে ছ’টি করে ম্যাচ খেলার পর প্রতি গ্রুপের সেরা দু’টি দল পৌঁছবে তৃতীয় রাউন্ডে। ভারত সেরা দুইয়ের মধ্যে থাকতে পারলে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারবে।
[আরও পড়ুন: অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ নাকি শাকিব? ‘টাইমড আউট’ বিতর্কে কার পক্ষে রায় দিল এমসিসি?]
এমন কঠিন প্রতিযোগিতায় খেলতে নামার আগে ইগর বলেন, “প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। তবে আমাদের ফুটবলারদের জন্য অনেক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। আমাদের এবার নতুন করে একটা ভারসাম্যযুক্ত এবং শক্তিশালী দল তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে রক্ষণে। ইদানীং আমরা অনেক গোল খেয়েছি। যদিও কয়েকটা গোল খেয়েছি রেফারিদের ভুল সিদ্ধান্তের ফলে। তবে আমি খুশি যে আমাদের ছেলেরা নিয়মিত আইএসএলে খেলছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করছে। এটা জাতীয় দলের পক্ষে ভালো ইঙ্গিত।” এখানেই থেমে না থেকে কঠিন বিপক্ষ নিয়েও মুখ খুলেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপার। তিনি বলেছেন, “বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কোনও সহজ প্রতিপক্ষ নেই। প্রত্যেকেই সেরা দল। তবে আমাদের প্রতি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। আমার যা অভিজ্ঞতা, তাতে বলতে পারি নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কঠিন সময় যাবে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে আমরা গ্রুপে অন্তত দ্বিতীয় স্থানে থেকে পরবর্তী রাউন্ডে উঠতে পারি।”
কাতার, কুয়েত ফুটবলের নিরিখে ভারতের থেকে অনেক শক্তিশালী। সেটা ইগর খুব ভালোভাবেই জানেন। তাই শেষে বাস্তববাদী কোচ বলেছেন, “আমি সব সময়ই আত্মবিশ্বাসী থাকি। একজন কোচের কাছে এছাড়া কোনও উপায়ও নেই। তবে আমি বাস্তববাদীও। কোন কোন জায়গায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে এবং কোথায় কোথায় সমস্যা আছে, তা খুঁজে খুঁজে বার করি আমি। কারণ, দলের সবারই জানা দরকার কতটা কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। এটাই সেরা উপায়।”