সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে (Cooch Behar Trophy Final) ইতিহাস। ব্রায়ান লারাকে (Brian Lara) মনে করিয়ে রেকর্ড বইয়ের পাতায় নাম লিখিয়েছিলেন প্রখর চতুর্বেদী (Prakhar Chaturvedi)। অনূর্ধ্ব ১৯ কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে (Cooch Behar Trophy) ৪০৪ রানে অপরাজিত থেকে কৃতিত্ব গড়লেন প্রথম কোনও ক্রিকেটার। এমন পারফরম্যান্স করে দীর্ঘ ২৫ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙেছিলেন কর্নাটকের (Karnataka) তরুণ। তাও আবার যুবরাজ সিংয়ের (Yuvraj Singh) নজির। স্বভাবতই তরুণ ক্রিকেটারকে শুভেচ্ছা জানালেন জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন অলরাউন্ডার।
নিজের X হ্যান্ডেলে যুবরাজ লিখেছেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্যই। দেখে ভালো লাগছে, ভারতীয় ক্রিকেট সুরক্ষিত হাতেই রয়েছে। রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্যই। তবে অনেক রেকর্ড অনেক বছর ধরে অক্ষত থেকে যায়। ১৯৯৯ সালে কোচবিহার ট্রফিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিহারের বিরুদ্ধে ৩৫৮ রান করেছিলেন পাঞ্জাবের যুবি।
[আরও পড়ুন: চোটপ্রবণ হার্দিকের বিকল্প শিবম! বোর্ড কর্তার বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় ভারতীয় ক্রিকেট]
অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে সেই রেকর্ড এত দিন তাঁর দখলেই ছিল। যুবরাজ সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ও নিয়েছেন। কেরিয়ারে দুটো বিশ্বকাপ জয়, দুটোতেই সেরার পুরস্কার। যুবির বর্ণময় কেরিয়ারে এতদিনও অক্ষত ছিল কোচবিহার ট্রফিতে গড়া সেই রেকর্ড। এবার সেই রেকর্ড ভেঙেছেন কর্ণাটকের ওপেনার। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না কিংবদন্তি।
প্রখর চতুর্বেদীর এই ম্যারাথন ইনিংস ৪৬টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল। তাঁর ব্যাটিং দাপটে কর্নাটক প্রথম ইনিংসে লিড নেয়। খেতাবও জিতে নেয় কর্নাটক। ৬৩৮ বল খেলে ৪০৪ রানে অপরাজিত থেকে যান প্রখর চতুর্বেদী। একশো ওভার ব্যাট করেছেন তিনি। দুদিন ধরে ঘাম ঝরালেও মুম্বই বোলাররা আউট করতে পারেননি প্রখর চতুর্বেদীকে। মুম্বই প্রথম ইনিংসে ৩৮০ রান তুলেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রখর চতুর্বেদী একাই মুম্বইয়ের ইনিংস থেকে ২৪ রান বেশি করেন। কর্নাটক ২২৩ ওভারে আট উইকেটে ৮৯০ রান তোলে কর্নাটক।
প্রখর চতুর্বেদীর ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড চমকে দেওয়ার মতোই। সেই পরিবার থেকে ক্রিকেটার হওয়া কঠিন ছিল হয়তো। প্রখর অবশ্য পড়াশোনা এবং ক্রিকেটের ভারসাম্য ঠিক রেখেছেন। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে কোচবিহার ট্রফিতে ৪০০ রানের নজিরও গড়েছেন। প্রখরের বাবা সঞ্জয় চতুর্বেদী একটি সফ্টওয়্যার ফার্মের মালিক। তাঁর মা রূপা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলোপমেন্ট অর্গানাইজেশনের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসার। ছেলেকে অবশ্য কেরিয়ার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চাপ দেননি। বরং বাবা-মায়ের পুরোপুরি সমর্থন ছিল বলেই ক্রিকেটার হতে পেরেছেন।