সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে ক্ষোভে ফুঁসছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) আমজনতা। জনরোষের মুখে পড়ে এবার দেশের নৌসেনা ছাউনিতে আশ্রয় নিলেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে (Mahinda Rajapaksa) ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছে। এদিকে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রক হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যারা সম্পত্তি নষ্ট করবে তাদের যেন দেখামাত্র গুলি করা হয়।
জানা যাচ্ছে, প্রবল বিক্ষোভের মুখে কলম্বোর বাড়ি ছেড়ে কার্যত পালিয়ে যান রাজাপক্ষে। সপরিবারে তিনি আশ্রয় নেন ত্রিনকোমালি নৌসেনা ছাউনিতে। এখবর পাওয়ার পরে বিক্ষোভকারীরা সেখানে হাজির হয়েও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তবুও রাগ পড়ছে না আমজনতার। দেশজুড়ে কিছুতেই থামছে না বিক্ষোভ মিছিল।
[আরও পড়ুন: এ কোন সমাজ? গান পছন্দ হয়নি, বিয়েবাড়িতে অতিথিকে গুলি করলেন খোদ বর!]
সূত্রের খবর, রাজধানী কলম্বোয় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের উপর চড়াও হয় শাসকদলের সমর্থকরা। পুলিশ সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, ৫ জনের মৃত্যু হয় সংঘর্ষে। এই ঘটনায় দেশজুড়ে চলতে থাকা বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। এরপরই পদত্যাগ করেন রাজাপক্ষে। কিন্তু এরপরও ক্রমশই বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। বন্দর শহর হামবানটোটায় রাজাপক্ষেদের পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশও বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে গুলি চালিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।
গত মাসেই শ্রীলঙ্কা প্রশাসন পরিষ্কার করে দেয়, ঋণদাতাদের অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। শনিবারই পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য দ্বীপরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়। মনে করা হচ্ছিল সরকার বিরোধী বিক্ষোভ যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে, সেইদিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত। খোদ প্রেসিডেন্টেরই এক মুখপাত্রের দাবি ছিল, আইনের কড়া প্রয়োগ করতেই এই পদক্ষেপ করেছেন গোতাবায়া। এরপরই বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। যা চরম আকার ধারণ করে সোমবার। এদিকে, শ্রীলঙ্কায় হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দপ্তর জানিয়েছে, দেশটির পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে তারা।