সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরজি করের ঘটনার পাশাপাশি একের পর এক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় উত্তাল দেশ। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই চাঞ্চল্যকর পর্যবেক্ষণ বম্বে হাই কোর্টের। এক পকসো মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, 'যদি কোনও যুবক প্রেমের প্রস্তাব দিতে বার বার নাবালিকার পিছু নেয় তাহলে সেটাও যৌন নির্যাতন হিসেবে গণ্য করা হবে।'
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেছিল অমরাবতীর এক আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে বম্বে হাই কোর্টে আবেদন জানান যুবক। তবে গত ৮ আগস্ট মামলায় শুনানিতে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে উচ্চ আদালত। আদালত জানায়, 'নির্যাতিতা আদালতের কাছে যে প্রমাণ পেশ করেছেন সেখানে অপরাধীর আচরণ ও ব্যবহার স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। নির্যাতিতার পেশ করা প্রমাণে স্পষ্ট যে, 'অভিযুক্ত নাবালিকার সঙ্গে কথা বলার জন্য লাগাতার নাবালিকার পিছু নিচ্ছিল। অথচ নাবালিকা প্রতিবার বুঝিয়ে দিয়েছে সে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক নয়। তার পরও ওই যুবক পিছু হটেনি।'
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রের রোষে যুবক থেকে বৃদ্ধ! বাংলাদেশে ৩৭ বছর কারাবাসের পর ঘরে ফিরলেন শাহজাহান]
বিচারপতি আরও বলেন, 'নির্যাতিতার সমস্ত তথ্য প্রমাণে এটাও স্পষ্ট যে অভিযুক্ত নাবালিকার যৌন নির্যাতন করেছে। অভিযুক্তের ব্যবহার ও আচরণ তার মানসিকতা স্পষ্ট করে দিয়েছে। দিনের পর দিন নাবালিকার পিছু নিয়েছিল অভিযুক্ত। বার বার প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু প্রতি বার নাবালিকা তার প্রস্তাব খারিজ করেছে। অভিযুক্ত ভেবেছিল, এভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিলে নাবালিকা রাজি হয়ে যাবে। আমার বিচারে ওই যুবকের উদ্দেশ্য ভালো ছিল না। এই ধরনের আচরণও যৌন নির্যাতনের সামিল।'
এই মামলার সূত্রপাত ২০১৭ সালের ১৯ আগস্ট। সেই সময় নাবালিকা নির্যাতিতা দাবি করেছিল, দিনের পর দিন তাকে উত্তক্ত করছিলেন অভিযুক্ত যুবক। কোথাও গেলে পিছু নেওয়া হত তার। যুবকের এই আচরণ নাবালিকার যে পছন্দ নয়, সে কথা বলেছিল নাবালিকা। শেষে যুবককে চড় মারে এবং মাকে জানায়। এর পর থানায় এফআইআর দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। যদিও যুবকের দাবি, মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে আদালতের তাঁর দাবি ধোপে টেকেনি।