শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: চোরাশিকার রুখতে এবার অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কেনার পরিকল্পনা নিল বন দপ্তর। এর জন্য অর্থ দপ্তরে প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। চোরাশিকারিদের টার্গেট এখন উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের জঙ্গল। জলদাপাড়ার পাশাপাশি গরুমারার জঙ্গলে একের পর এক গন্ডার এবং হাতি শিকারের ঘটনায় চিন্তা বাড়ছে বনদপ্তরের। তদন্তে জানা গিয়েছে, অর্থ সংগ্রহের জন্য ডুয়ার্সের জঙ্গলকে টার্গেট করছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গি সংগঠনগুলো। এই পরিস্থিতিতে চোরাশিকারিদের রুখতে অস্ত্র কিনতে চাইছে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত বিখ্যাত পরিবেশবিদ রাজেন্দ্র কুমার পাচৌরি]
২০১৮ সালে গরুমারার জঙ্গলে গন্ডার শিকারের ঘটনায় মুয়াং নামে মনিপুরের বাসিন্দা এক শিকারিকে গ্রেপ্তার করে বনদপ্তর। তাকে জেরা করে জানা যায়, মণিপুরের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত মুয়াং। সংগঠনের অর্থ সংগ্রহের জন্য ডুয়ার্সে গন্ডার শিকারে আসে সে। শিকারে অত্যাধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বলে জেরায় জানায় মুয়াং। বনকর্মীদের অভিযোগ, মান্ধাতা আমলের অস্ত্র নিয়ে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা শিকারিদের মোকাবিলা করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ফরেস্ট উইংয়ের আহ্বায়ক বিজয় ধর জানান, একে বন কর্মীরা সংখ্যায় কম। তার উপর মান্ধাতার আমলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কাজ করতে হয় তাঁদের। এই দিয়ে কোনওভাবেই চোরাশিকারিদের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। বিষয়টি একাধিকবার বনকর্তাদের জানিয়েছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও সুরাহা হয়নি।
[আরও পড়ুন: শিকার ধরতে লোকালয়ে ঘুরছে শঙ্খচূড়, আতঙ্ক বাড়ছে ২ বঙ্গে]
এ বিষয়ে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বনকর্মী নিয়োগের ব্যাপারে যেমন ভাবা হচ্ছে, একইসঙ্গে বনকর্মীদের আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রে প্রশিক্ষিত করে তোলার ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা চলছে। পুরনো অস্ত্রে ভরসা না রেখে চোরাশিকারিদের ঠেকাতে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কিনবে বনদপ্তর। ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তাব অর্থ দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে বনমন্ত্রী জানিয়েছেন।
The post বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে নয়া উদ্যোগ, চোরাশিকার রুখতে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কিনবে বনদপ্তর appeared first on Sangbad Pratidin.