সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের আগেই সন্তানের (Child) জন্ম। তাই সৎবাবার দু’চোখের বিষ হয়ে উঠেছিল দেড় বছরের খুদে। সেই ঘৃণার জেরেই দুধের শিশুর মাথা থেঁতলে, মাটিতে আছড়ে খুন করল বাবা। মধ্যপ্রদেশের কোলারের এই ঘটনায় স্তম্ভিত প্রতিবেশীরা।
অভিযুক্ত ২৫ বছরের বিনোদ পারভের সঙ্গে বিয়ে হয় রোশনি আরিহার। তাঁদের সঙ্গেই কোলারের বাড়িতে থাকত দেড় বছরের দুধের শিশু আরিয়ান। জানা গিয়েছে, বিনোদের সঙ্গে বিয়ের আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন রোশনি। তাই অরিয়ানকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি অভিযুক্ত। ছেলেকে মোটেই পছন্দ করত না সে।
[আরও পড়ুন : মর্মান্তিক, মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে ভয়াবহ আগুনে প্রাণ গেল ১০ শিশুর]
বৃহস্পতিবার কিছু জিনিস কেনার দোহাই নিয়ে রোশনিকে বাজারে পাঠায় বিনোদ। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে কুকর্ম ঘটিয়ে ফেলে অভিযুক্ত। প্রথম লোহার বেড়ি দিয়ে আরিয়ানের মাথায় আঘাত করে সে। সঙ্গে সঙ্গে খুদে শিশুটির মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বের হতে থাকে। তাতেও সৎ বাবার মনের আশ মেটেনি! সৎ ছেলেকে মাটিতে বার কয়েক আছড়ে ফেলে সে। রক্তে ভরে যায় মেঝে। আরিয়ানের নিষ্প্রাণ দেহটি পরে থাকে মাটিতে।
রোশনি বাজার থেকে ফিরে এই অবস্থা দেখে আঁতকে ওঠেন। ছেলেকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছোটেন রোশনি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। অনেক আগেই আরিয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকেরা।
[আরও পড়ুন : করোনা আবহে খরচ কমাতে নয়া পদক্ষেপ রেলের, ক্ষুব্ধ কর্মীরা]
রোশনির সন্দেহ হয়েছিল যে বিনোদই তাঁর ছেলেকে খুন করেছে। কারণ আরিয়ানকে মোটেই পছন্দ করত না অভিযুক্ত। বিভিন্ন সময় নানাভাবে ছেলেকে হয়রান করত সে। কিন্তু ভয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি রোশনি। বদলে ভাই রবিকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। এরপর রবিই পুলিশকে খবর দেয়। অবশেষে অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার হয়। যদিও বিনোদের দাবি, তিনি ছেলেকে খুন করেননি। অসাবধানতাবশত জলভরতি বালতি অরিয়ানের উপর উলটে গিয়েছিল। যদিও সে কথা মানতে নারাজ পুলিশ। তদন্ত চলছে।