সুব্রত বিশ্বাস: শুধু ঝড় নয়, আগুনের দাপটে প্রাণ হাতে নিয়ে দৌড়েছেন ট্রেন যাত্রীরা। সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আওতায় থাকা কোলাঘাট স্টেশনে। এক যাত্রীর তোলা ভিডিও থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার তদন্ত শুরু করল রেল।
গতকাল ঝড়ের দাপটে একাধিক যায়গায় ওভেরহেড তারে গাছের ডাল এসে পড়ে। যা ভয়াবহ রূপ নেয় কোলাঘাট স্টেশনে। ওভারহেড তারে গাছ পড়ে আগুনের শিখা দেখা যায়। তীব্র গতিতে হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেললাইনে আগুনের ফুলকি এসে পড়ে। বাদ যায়নি স্টেশনও। তাই দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এক যাত্রী সেই ভিডিও পোস্ট করে বিখেছেন, “এমন অবস্থার মুখোমুখি কোনওদিন হইনি। মনে হচ্ছিল যে কোনও মুহূর্তে মরে যাব।”
[আরও পড়ুন: পোশাকের সেফটিপিন গলায় বিঁধে বিপত্তি! মহিলার প্রাণ বাঁচাল বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজ]
ভিডিওয় দেখা যায়, ওভারহেড তারে একের পর এক গাছের ডাল ঝড়ে উড়ে এসে পড়ায় আগুনের ফুলকি দেখা যায়, সঙ্গে বিকট শব্দ। শর্টসার্কিটের এই আগুনের জেরে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। মারাত্মক শব্দ ও আগুন দেখে ভয় পেয়ে যান যাত্রীরা। বিকট বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়ায় স্টেশনে। আতঙ্কিত যাত্রীরা ঝড়ের মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে ট্রেন থেকে নেমে চারিদিকে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। আশ্রয় নেন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন নিরাপদ জায়গায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ওই রেল।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিফ অপারেশন ম্যানেজার দীপককুমার ঝা জানিয়েছেন, ঝড় জলে তিনটি লাইন বন্ধ ছিল। ভালই ক্ষতি হয়েছে। রাত নয়টা নাগাদ লাইনগুলো ট্রেন চলাচলের উপযুক্ত করা হয়েছে। তারপরেই ট্রেন চলেছে। চক্ররেলও রাত ন’টার পর মেরামত শেষ হলেও আটকে পড়া ট্রেনগুলি যাত্রা শেষ করতে পারেনি। মাঝেরহাট থেকে রানাঘাটগামী ট্রেনটি পৌনে এগারোটার সময় ব্যারাকপুরে যাত্রা বাতিল করে। যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। শিয়ালদহ মেন ও দক্ষিণের যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল রাত পর্যন্ত।