গোবিন্দ রায়: উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষার মধ্যেই রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ ছাত্রী। কিন্তু এত বড় দুর্ঘটনাতেও মনের জোর কমেনি তার। পরীক্ষায় সে বসবেই। হাড়োয়ার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অদম্য জেদ দেখে হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিল কর্তৃপক্ষ। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া (Haroa)জগন্নাথপুর অরবিন্দ পল্লি ভারতী হাই স্কুলের পরীক্ষার্থী বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই পরীক্ষা দিল। তাঁর এই মনের জোর দেখে বিস্মিত পরিবার, শিক্ষক থেকে চিকিৎসকরাও।
উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া জগন্নাথপুর অরবিন্দ পল্লি ভারতী হাইস্কুল থেকে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে সংগীতা বিশ্বাস। রাইখা গ্রামের বাসিন্দা সংগীতা বুধবার বাড়িতে রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ (Burnt) হয়। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করান। গুরুতর আহত সংগীতার চিকিৎসা শুরু হয় তখনই। চিকিৎসকরা জানান, শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে ছাত্রীর।
[আরও পড়ুন: কলেজে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর ‘অবৈধ’ চাকরি! টুইট করে নথি প্রকাশ্য আনল তৃণমূল]
কিন্তু গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও মনের জোর, ইচ্ছাশক্তি দমেনি সংগীতার। বৃহস্পতিবার ছিল উচ্চমাধ্যমিকের এডুকেশন (Education) পরীক্ষা। সংগীতা জানায়, সে পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত সবরকমভাবে। আর তার সেই অদম্য ইচ্ছাশক্তি বহিঃপ্রকাশ হতেই হাসপাতাল বেডেই তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এদিন নির্ধারিত সময়ে বোর্ডের সদস্যরা স্কুলের শিক্ষকদের সামনে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ওই ছাত্রী পরীক্ষা (Examination) শেষ করল। পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি সংগীতা ও তার পরিবার।