সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিকৃত লালসার শিকার বাংলাদেশের কিশোরী। ষষ্ঠশ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক টোটোচালকের বিরুদ্ধে। কিশোরীর মৃত্যুর পর ফের তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে খবর। ঘটনাটির সাক্ষী বাংলাদেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হাট শ্রীকোল গ্রাম। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করেছে এলিট ফোরস র্যাব-৬।
রবিবার সংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব-৬। সেখানে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের নাম হাসান শেখ। শ্রীকোল গ্রামের ফজলুক শেখের ছেলে। বাড়িতে স্ত্রী রয়েছেন। পেশায় টোটো চালক ওই যুবক। র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান নাজিউর রহমান জানান, ১৭ মার্চ ‘জাতীয় শিশু দিবস’র দিনে বাড়ির পাশে নদীর চরে নিজেদের একটি রসুনের খেত দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। পরদিন ১৮ মার্চ দুপুরে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরে নদীর পাশে একটি বাঁশ বাগানের নিচে তার মরদেহ দেখা যায়। পুলিশ ওই দিন বিকেলে দেহটি উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ, সিআইডি ও র্যাবের কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করে।
[আরও পড়ুন: ফের মৌলবাদীদের হামলার নিশানায় ঢাকার ইসকন মন্দির, চলল মারধর, লুটপাট]
শনিবার র্যাব-৬ এর সদস্যরা খুনি মো. হাসান শেখকে আটক করে। র্যাবের দাবি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনি হাসান নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, ওই স্কুলছাত্রীকে প্রথমে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে সে। এরপর মেয়েটি বাঁচার আকুতি জানালে তাকে ব্লেড দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর পাষণ্ড হাসান মেয়েটিকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে।
ধৃত হাসান আরও জানায়, অনেক আগে থেকেই সে নাবালিকাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। নদীর ধারে হাসান মাঝে মধ্যে গাঁজা সেবন করত। ঘটনার দিন ছাত্রীকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে পাশের বাঁশ বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এদিকে, স্কুলছাত্রীর খুনির ফাঁসির দাবিতে হাট শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।