দীপঙ্কর মণ্ডল: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু হস্টেল দ্রুত চালুর দাবিতে অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন পড়ুয়ারা। তবে তাঁরা অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। স্টুডেন্ট কাউন্সিল না থাকলেও হিন্দু হস্টেল সংস্কারের কাজ তদারকি করবে ‘স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটি’।
সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার পর রাজারহাটের হস্টেল থেকে ধাপে ধাপে আবাসিকদের ফিরিয়ে আনার কাজেও সাহায্য করবে এই কমিটি। প্রেসিডেন্সির রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার জানিয়েছেন, “ছাত্রদের দাবি মেনে কাজ চলাকালীন কিছু সামগ্রী রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পিডব্লিউডি কাজ শেষ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা রাজারহাট থেকে আবাসিকদের হিন্দু হস্টেলে ফিরিয়ে আনব।” প্রসঙ্গত, হিন্দু হস্টেল নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে ইতিমধ্যে হস্তক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে হস্টেলের একটি অংশকে বাসযোগ্য করে তোলা হবে বলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। ঘোষিত দিনের মধ্যে হস্টেলে ১১০ জন ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা হবে বলেও জানানো হয়েছে। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সরকারি আশ্বাসের কথা জানানো হয়েছে। হস্টেল চালু নিয়ে এদিন ফের বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
[তিলোত্তমার এক অন্য রূপ, পুজোর শহরে ঘরহারা লক্ষাধিক ফুটপাতবাসী]
আন্দোলনরত পড়ুয়ারা দাবি করেছিল, কর্তৃপক্ষ চাইলেই হস্টেলের একাংশ পড়ুয়াদের ব্যবহারের জন্য খুলে দিতে পারে।এই দাবিতে প্রায় আড়াই মাস ধরে অবস্থান করেছেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। এমনকি বিক্ষোভের জেরে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয় প্রেসিডেন্সির সমাবর্তন অনুষ্ঠানও। নজিরবিহীনভাবে তা আয়োজিত হয় নন্দন চত্বরে। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের দাবি, হিন্দু হস্টেল সংস্কারের কাজ করছে পূর্ত দপ্তর। অনুমতি ছা়ড়া হিন্দু হস্টেল পড়ুয়াদের ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। অচলাবস্থা কাটাতে পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করে কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালে সংস্কারের জন্য হিন্দু হস্টেল খালি করে দেওয়া হয়। ঠিক ছিল, ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ফের চালু হবে হস্টেলে। রাজারহাটে একটি আবাসনে পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা করেছে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ।
[লোকসভার আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নয়, ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর]
Advertisement