দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কুলতলিতে মিড ডে মিলের (Mid day meal) স্পেশ্যাল মাংস-ভাত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল বহু ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ, বাসি মাংস ভাত খাওয়ানো হয়েছে পড়ুয়াদের। ভাত থেকেও বেরচ্ছিল কেরোসিনের কটু গন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে স্কুলের গেট আটকে রেখে অসুস্থ ছাত্রছাত্রীদের বাইরে বেরতে দেওয়া হয়নি। আর তাতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা।
পড়ুয়াদের অভিভাবকদের দাবি, খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে শতাধিক ছাত্রছাত্রী। পড়ুয়াদের অসুস্থতার খবর পেয়ে অভিভাবকরা, এলাকার বাসিন্দারা স্কুলে ছুটে যান। তাদের উদ্ধার করে জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার দুপুরে কুলতলি থানার জালাবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের কেওড়াখালী নকুল সহদেব হাই স্কুলের ঘটনায় ছড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ার জের? স্বামী ও শাশুড়িকে খুনের পর দেহ টুকরো করে ফ্রিজে ভরলেন গৃহবধূ!]
এর জেরে শিক্ষকদের আটকে রেখে স্কুল ঘেরাও করে প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। স্কুল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। কুলতলি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজনাময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই স্কুলে পৌঁছান কুলতলির বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী, কুলতলির স্কুল পরিদর্শক সৌরভ চক্রবর্তীও। পরে হাসপাতালে ছাত্রছাত্রীদের দেখতে যান কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল-সহ অন্যরা।
বারুইপুর মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই বিডিওকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তাঁর আরও দাবি, কোনও ছাত্রছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়নি। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল বলে দেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই এই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। প্রশাসনিক স্তর থেকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানোতর তৈরি হয়েছে। জয়নগর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, “প্রধান শিক্ষক স্কুলে অসুস্থ ছাত্রছাত্রীদের আটকে রেখেছিল। এর সঠিক তদন্ত চাই।” আবার কুলতলির সিপিএম নেতা উদয় মণ্ডল প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি করেছেন।