সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। বরানগরের NILD হাসপাতালের গেট আটকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ এখনও জারি। মিলছে না হাসপাতালের কোনও পরিষেবা। মিলছে না চিকিৎসা। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার রোগীরা।
বরানগরের NILD হাসপাতালের হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্র পরিষেবার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে দাবি করেন সহপাঠীরা। এরপরই হাসপাতালের গেট আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, হাসপাতালে জরুরি বিভাগ নেই, অ্যাম্বুলেন্স নেই। একাধিকবার পরিষেবা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করা হয়নি বলেও দাবি বিক্ষোভকারীদের।
[আরও পড়ুন: ব়্যাগিংয়ের শিকার বরানগরের মৃত ছাত্র! কলেজের সিনিয়র-সহ ৯জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ পরিবার]
মঙ্গলবারের বুধবারও চলছে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। হাসপাতালের মূল গেট আটকে বিক্ষোভে শামিল পড়ুয়ারা। এদিকে দূরদুরান্ত থেকে রোগীরা এলেও তাঁরা ঢুকতে পারছেন না। গেটের বাইরে আটকে একাধিক চিকিৎসকও। ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তিতে আমজনতা। এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের দাবি, কোনও চিকিৎসক চাইলে গেটের বাইরে বসে পরিষেবা দিতেই পারেন। তার জন্য চেয়ার টেবিল যা প্রয়োজন ভিতর থেকে তা দেওয়া হবে। কিন্তু দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই। সব মিলিয়ে তুমুল উত্তেজনা হাসপাতাল চত্বরে।
প্রসঙ্গত, সোমবার গভীর রাতে হস্টেলে মেলে প্রিয়রঞ্জন সিং নামে এক ছাত্রের দেহ। পরিবার দাবি করে, কলেজে দীর্ঘদিন ধরেই ব়্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছিলেন ওই পড়ুয়া। পরিবারে তা জানিয়েছিলেন। এমনকী অ্যান্টি ব়্যাগিং সেলেও জানিয়েছিলেন। এরপরই মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলে বরানগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের পরিবার। সেখানে কলেজের ২ সিনিয়রের নাম রয়েছে। অভিযোগ, তারা নাকি দীর্ঘদিন ধরে প্রিয়রঞ্জনকে বিরক্ত করত।