সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গানের কথা যেন একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল বাংলায়। সত্যি বোধহয় ‘বিপিনবাবুর কারণ সুধা, মেটায় জ্বালা মেটায় ক্ষুধা।’ না হলে কি অতিমারীকে উপেক্ষা করে মদের দোকানের সামনে উপচে পড়া ভিড় জমেছিল! পুলিশের লাঠি খেয়েও রাজ্যবাসী নিজেদের ‘স্টকে’ মজুত করে নানান রকমের মদ। এ ছবি অবশ্য নতুন নয়। গতবার লকডাউনের সময়ও লম্বা লাইন পড়েছিল মদের দোকানে (Liquor shops)। কেউ কেউ তো আবার মদের জ্বালা ভুলতে অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার খেয়ে বেঘোরে প্রাণও দিয়েছেন। সুরাপান নিয়ে গোটা দেশে যৌথসমীক্ষা চালায় ICRIER এবং আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা পিএলআর চেম্বার্স। তাতেই এ রাজ্য সম্পর্কে এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। কী সেই তথ্য?
সমীক্ষা বলছে, মদ্যপানের নিরিখে দেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। প্রথমে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ। এ রাজ্যের প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ সুরা পান করেন। তাই এ বিভাগ থেকে আসে প্রচুর রাজস্বও। সমীক্ষার ফল বলছে, মদ এ রাজ্যে শীর্ষ তিনটি কর বাবদ আদায়ের অন্যতম একটি। তবে সম্প্রতি মদের দামের মডেল পরিবর্তন করা হয়। যার জেরে ইন্ডিয়ান মেড ফরেন লিকারের দাম পরিবর্তন হয়েছে। তার জেরে বেশ কিছুটা কমেছে বিদেশি মদের বিক্রি। তবু সুরাপান বিরতি নেই এ রাজ্যে।
[আরও পড়ুন: Taliban enter Kabul: অবশেষে আফগান রাজধানী কাবুলে ঢুকে পড়ল তালিবান জঙ্গিরা]
লকডাউনের আগে অতিমারীকে উপেক্ষা করে মুখে মাস্ক আর পকেটে স্যানিটাইজার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মদের দোকানে। বাবুঘাট থেকে বাগুইআটি, মানিকতলা থেকে মন্দিরবাজার-রাজ্যের সর্বত্রই ছবিটা ছিল প্রায় এক। খাস কলকাতায় চাঁদনি চকের সামনের দোকানে ভিড় সামাল দিতে তো রীতিমতো পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছিল। যাতে লাইনে শারীরিক দূরত্ববিধি মানা হয়। কিন্তু কোথায় কী? পুলিশের চোখ এড়িয়ে লাইনের সাইড থেকে দোকানে ঢোকার চেষ্টা চালান কেউ কেউ। উদ্দেশ্য একটাই, দুটো অতিরিক্ত বোতল যদি পাওয়া যায়। নেশার রসদ না জুটলেও দোকানের নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিশের লাঠির ঘা জুটেছে অবশ্যই। তাতে অবশ্য সুরাপ্রেমীদের কিছু যায় আসে না, কারণ ওই যে প্রথমেই বলা হয়েছিল, ‘বিপিনবাবুর কারণ সুধা, মেটায় জ্বালা মেটায় ক্ষুধা।’ আর সেই সুরাপ্রীতির প্রতিফলন ঘটল সমীক্ষার রিপোর্টে।