সুব্রত বিশ্বাস: করোনার (Corona Virus) দ্বিতীয় থাবায় পর্যূদস্ত রেল পরিষেবা। কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ায় এখন চরম উদ্বেগে রেল প্রশাসন। শনিবারও চালক ও গার্ডের অভাবে হাওড়ায় ২৬ জোড়া ও শিয়ালদহে ৫৪ জোড়া ট্রেন বাতিল হয়েছে।
হাওড়ায় আক্রান্ত রেলকর্মীদের সংখ্যা ৬৭০ ছাড়িয়েছে। শিয়ালদহে (Sealdah) অতিক্রান্ত ৯০০। শিয়ালদহে দেড়শোরও বেশি চালক গার্ড আক্রান্ত হওয়ায় বাতিল ট্রেনের সংখ্যা বাড়তে বাধ্য হয়েছে রেল বলে জানিয়েছে। দেশজুড়ে সওয়া এক কোটির উপর রেলকর্মী আক্রান্ত। অল ইন্ডিয়ে রেলওয়ে মেনস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র পয়লা মে’র দিন বলেন, “দেশের মধ্যে দেড় হাজার রেলকর্মীকে আমরা করোনায় হারিয়েছি। সওয়া এক কোটি রেলকর্মী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ৭০ হাজার ভাল হয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বেড, চিকিৎসক, চিকিৎসা ব্যবস্থা অক্সিজেন সব কিছুরই আকাল চলছে।”
[আরও পড়ুন: অক্সিজেন পাইপলাইনে বরফ জমে বিপত্তি, সমস্যায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের রোগীরা]
শনিবার কলকাতার মধ্যে অবস্থিত রেল হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিন (Corona vaccine) দেওয়ার কাজ চললেও শনি ও রবি দু’দিন জেলার মধ্যে অবস্থিত বেশ কয়েকটি রেল হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ বন্ধ রাখা হয়। শুক্রবার হাওড়া অর্থোপেডিকে কিছু ভ্যাকসিন দেওয়ার পর বন্ধ করায় ধুন্দুমার কাণ্ড ঘটে। লিলুয়াতেও ছড়ায় উত্তেজনা। অর্থোপেডিক সূত্র বলা হয়েছে, শুক্রবার রাজ্য তাদের ভ্যাকসিন দেয়নি। শনিবার বিআর সিং হাসপাতালে ৩০০ উপর মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাজ্য লিখিতভাবে জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের জোগান কম থাকায় আপাতত বন্ধ রাখা হোক প্রথম ডোজের টিকাকরণের কাজ। রেল জানিয়েছে, রবিবার থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না, যতদিন না রাজ্য নির্দেশ দেয়। কেন্দ্র ও রাজ্য ভ্যাকসিনের পঞ্চাশ শতাংশ করে ব্যায় করে। ফলে রাজ্যে সরকার গঠনের পরই ভ্যাকসিনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে মনে করেছেন রেলের চিকিৎসকদের একাংশ।