সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনাবাাহিনী ও আধাসেনার মধ্যে চলা সংঘর্ষে রক্তাক্ত সুদান। আমেরিকা ও সৌদি আরবের উদ্যোগে জেড্ডায় আলোচনার টেবিলে বসলেও যুদ্ধ থামেনি। গত রবিবার থেকে রাজধানী খারতুম ও দারফুরে আরও জোরাল হয়েছে লড়াই।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এপ্রিলের ১৫ তারিখ থেকে চলা লড়াইয়ে যুযুধান দুই পক্ষের কেউই সংঘর্ষবিরতি মানছে না। রক্তক্ষয়ী ক্ষমতার লড়াইয়ে গত কয়েক দিন পশ্চিমের দারফুর এলাকায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। রাজধানী খারতুমেও প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। সুদানে শান্তি ফেরাতে গতকাল কায়রোয় আলোচনায় বসে আরব লিগ। জানা গিয়েছে, এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত হাজারেরও মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
[আরও পড়ুন: তুঙ্গে চিন-কানাডার ঠান্ডা লড়াই, বেজিংয়ের কূটনীতিককে তাড়াল ট্রুডো সরকার]
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে তৎকালীন অখণ্ড সুদানের মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে চলা গৃহযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলেন লক্ষাধিক মানুষ। এরপর আরব মুসলিম প্রধান সুদান ভেঙে সৃষ্টি হয়েছিল খ্রিস্টান দেশ দক্ষিণ সুদান।
সুদানের (Sudan) বর্তমান ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীরই দুই জেনারেল-সেনাপ্রধান আবদেল আল ফতা আল বুরহান ও জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালো। প্রথম জন সুদানের সেনাপ্রধান এবং ২০১৯ থেকে দেশের সর্বোচ্চ শাসনব্যবস্থার জন্য ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলের প্রধান। দ্বিতীয় জন দেশের আধাসামরিক বাহিনী ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (আরএসএফ)-এর প্রধান তথা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য। দু’জন জেনারেলের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার ভঙ্গ, লুটতরাজ, নৃশংসতা ও ধর্ষণে মদতের অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশটির অবস্থা তুলে ধরে এক পরিবার জানায়, সীমান্তের কাছে এসে তাঁরা আটকে রয়েছেন। সীমান্ত পেরতে ৪০ হাজার ডলার চাইছেন বাসচালক, যা সাধ্যাতীত। এভাবেই দিন কাটাচ্ছেন আরও অনেকে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি থেকে নিরাপদে পালাতে মরিয়া তাঁরা। এখনও পর্যন্ত ২৪০০ ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কেউ আটকে রয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ‘অপারেশন কাবেরী’ টিম।