গোবিন্দ রায়: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College) হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভের জেরে সমস্যা, বন্ধ আউটডোরের দরজা, সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি। ব্যাহত রোগী পরিষেবা। ঘেরাও তুলে, হাসপাতালের দরজা খুলে দেওয়া হোক রোগীদের জন্য। পরিজনদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হোক। রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হোক। এমনই একাধিক আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) মামলা দায়ের করলেন রোগীর আত্মীয়রা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও যুক্ত করে মামলা দায়ের হয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। বুধবার শুনানির সম্ভাবনা।
ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, এমএসভিপি-সহ বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ ওঠে। সোমবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও করেন জুনিয়র চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশ। করিডরেও বসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রাতভর ঘেরাও হয়ে ছিলেন সুপার।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা! মাঝরাতে তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করল গুজরাট পুলিশ]
মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আউটডোরে (OPD) জুনিয়র চিকিৎসকরা না যাওয়ায় চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রোগীরা। বেলা বাড়তে তাঁরাও বিক্ষোভ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, তাঁরা কোলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকতে মরিয়া। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি, জলপাইগুড়িতে রেলট্র্যাকে বসে অবরোধ আন্দোলনকারীদের]
পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হওয়ার পরই এক রোগীর আত্মীয় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। রোগী ও তাঁদের পরিবারের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে এবং বিক্ষোভ তুলে তাঁদের হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতিতে মামলা দায়ের করেন। চিকিৎসার মতো জরুরি পরিষেবা সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই এতটা মুখ থুবড়ে পড়ায় তা গুরুত্বের সঙ্গে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। বুধবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।