সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনদিন বিশ্বজুড়ে দাপট বাড়াচ্ছে মারণ ভাইরাস। কীভাবে তাকে নির্মূল করা যায়, তা নিয়ে লাগাতার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তারপরেও প্রতিষেধক এখনও অধরা। কখনও কখনও জীবাণু ধ্বংসের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানেই ভরসা রাখছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা মনে করেন, সূর্যালোকে করোনা জীবাণু নষ্ট হয়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বাতাসে থাকা জীবাণুকেও ধ্বস করতে সক্ষম। নতুন গবেষণার পর এমনটাই দাবি করছেন হোমল্যান্ড নিরাপত্তা বিভাগে উপদেষ্টা উইলিয়াম ব্রায়ান। তাঁর কথায়, সূর্যের রশ্মি জীবাণুকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে না পারলেও এর বংশবৃদ্ধির হার ও জিনের বদলানোর ক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। ফলে গ্রীষ্মকালে সংক্রমণের হার কমতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিজ্ঞান বলছে, স্রেফ তাপমাত্রা বৃদ্ধি নয়, বরং বাতাসে আর্দ্রতা বাড়লেও জীবাণুর সংক্রমণ বাধাপ্রাপ্ত হয়। আবার অতিবেগুনি রশ্মির (UV-Ray) জীবাণুমুক্ত করার ক্ষমতা রয়েছে। এই রশ্মি একদিকে ভাইরাসের জিনের ক্ষতি করে, আবার অন্যদিকে, জিনের প্রতিলিপি তৈরি করতে বাধা দিয়ে বংশবৃদ্ধি আটকায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পরিবেশের সাধারণ মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মি কি এই কাজ করতে সক্ষম? বা ঠিক কতটা রোদের তেজ থাকলে তবেই জীবাণু ধ্বংস করা সম্ভব হবে? এ বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
[আরও পড়ুন: লকডাউনের জেরে ২০ বছরের সর্বনিম্ন বায়ুদূষণ উত্তর ভারতে, তথ্য প্রকাশ নাসার]
একাধিক পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যতে দেখা গিয়েছে, একটানা ১৮ ঘণ্টা ২১-২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা ও বাতাসে ২০ শতাংশ আর্দ্রতা থাকলে জীবাণুর জীবনীশক্তির অর্ধেক হয়ে যায়। আবার বাতাসে ৮০ শতাংশ আর্দ্রতা থাকলে, তারসঙ্গে দু মিনিটের সূর্যের আলো যোগ হলে মাত্র ছয় ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। তবে বাতাসে এয়ারোসলের সঙ্গে যখন জীবাণু মিশে থাকসে ধ্বংস করতে তাপমাত্রাটা বেশি থাকা দরকার। ব্রায়ানের কথায়, গ্রীষ্মকালে সংক্রমণের ভয়াবহতা অনেকটাই কমে যায়। তবে তখন সামাজিক দূরত্ব বা মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হওয়াটা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় বলেও মনে করেন তিনি।
[আরও পড়ুন:ভারতে কতদিনে তৈরি হবে করোনার প্রতিষেধক? জানিয়ে দিলেন গবেষণা বিভাগের কর্তা]
The post ‘সূর্যের আলোই করোনা দ্রুত নির্মূল করতে পারে’, বলছেন মার্কিন গবেষকদের একাংশ appeared first on Sangbad Pratidin.