সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মের তিন মাস পর থেকেই বাঁচার লড়াই চলছে ছোট্ট ঋতির। এখন ওর বয়স চার। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লড়াইও বাড়ছে। মেয়ের এমন শারীরিক অবস্থা দেখে প্রতিদিন একটু একটু করে ভিতর থেকে ভেঙে যাচ্ছেন মা-বাবা। কিন্তু মেয়েকে বুঝতে দিচ্ছেন না। সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত চলছে তাঁদের চোয়াল চাপা সংগ্রাম। গোটা পরিবারকে গ্রাস করেছে দারিদ্র। আর সেই কারণেই আপনাদের কাছে মা-বাবার কাতর আর্জি, তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। শিশুটির প্রাণ বাঁচাতে আর্থিক অনুদান দিয়ে পরিবারের পাশে থাকুন।
অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
কী হয়েছে ছোট্ট ঋতির? অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, “জন্মানোর পর সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু মাস তিনেক পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। মাঝে মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ত ঋতি। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসত। কোনও ওষুধই কাজে দিত না। ধীরে ধীরে সমস্যা বাড়তেই থাকে। সবসময়ই অসুস্থ থাকতে শুরু করে আমাদের মেয়ে। বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। মেয়েকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েও প্রথমে লাভ হয়নি। তিনি শহরের কোনও স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এক মুহূর্ত দেরি না করে ঋতিকে নিয়ে শহরে ছুটি। সেখানে মেয়ের অনেকগুলো টেস্ট করানো হয়। তারপরই ধরা পড়ে ওর অসুস্থতার কারণ। চিকিৎসকরা জানান থ্যালাসেমিয়ায় ভুগছে ঋতি। তাও আবার মেজর স্টেজ।”
সেই সময় থেকেই লড়াই শুরু। তখন থেকে মেয়েকে সুস্থ রাখতে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে প্রতি মাসে রক্ত দিতে হয় ঋতিকে। রক্ত জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় মা-বাবাকে। তাও কোনওক্রমে জোগান দিয়ে চলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমানে সমস্যা আরও বেড়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, রক্ত দিয়ে ঋতিকে সাময়িকভাবে সুস্থ রাখা সম্ভব ছিল। তবে এবার প্রয়োজন বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন। মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়ে ঋতির অভিভাবকের। মেয়ের মুখের সেই মিষ্টি হাসি কীভাবে ফেরাবেন তাঁরা? এই প্রতিস্থাপনে তো বিরাট খরচ। দুই-চার নয়, একেবারে ১৪ লক্ষ টাকা! দিশেহারা ঋতির বাবা বলছিলেন, “এত টাকা কোথা থেকে পাব? এত অর্থ তো কল্পনাও করতে পারি না।” আর ঠিক এই জন্যই আপনাদের কাছে তাঁরা সাহায্যপ্রার্থী। “আমার মেয়েটাকে আমি হারাতে চাই না। দয়া করে আপনারা একটু পাশে দাঁড়ান। ও আপ্রাণ নিজের রোগের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। ওর প্রাণ রক্ষার জন্য আপনাদের সাহায্যের খুবই প্রয়োজন।” কথাগুলো বলার সময় চোখের জল বাধ মানছিল না ঋতির মায়ের।
অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
ছোট্ট শিশুটির প্রাণরক্ষায় আপনিও অংশীদার হতে পারেন। যথাসাধ্য আর্থিক অনুদান দিয়ে ঋতির বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে অনেকখানি মানসিক শান্তি মিলবে বইকী।
ঋতির অসুস্থতা এবং তার চিকিৎসার জন্য খরচের বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে একটি মেডিক্যাল দল। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্রও রয়েছে। অনুদানের আগে আপনিও চাইলে তা যাচাই করে দেখতে পারেন। কিংবা মেডিক্যাল টিমের আয়োজকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
চ্যারিটি নম্বর: 81686184
বিঃ দ্রঃ- এই অনুদান 80G, 501(c) ইত্যাদি কর ছাড়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।