সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ বিজেপি শাসিত অরুণাচল প্রদেশে। অভিযোগ, সমস্ত সরকারি কাজের বরাত নাকি পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর স্ত্রী এবং তাঁর আত্মীয়দের মালিকানাধীন সংস্থা! সেই অভিযোগ কতটা সত্যি? এ নিয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে বিস্তারিত জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৬ সাল থেকে অরুণাচলে শাসন করছে বিজেপি। কংগ্রেস থেকে একদল বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়ে সে বছর রাতারাতি মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসে যান পেমা। তারপর থেকে তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে। বস্তুত এই মুহূর্তে সে রাজ্যে সেভাবে বিরোধী শক্তি নেই। অরুণাচল বিধানসভাও কার্যত বিরোধী শূন্য। অভিযোগ, এই সুযোগ নিয়ে সে রাজ্যে দেদার দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ চলছে সে রাজ্যে। সমস্ত সরকারি কাজের বরাত পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়রা। এমনকী বেশ কিছু চুক্তি গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর বিভিন্ন সংস্থার হাতে।
এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এক স্বেচ্ছাসেবীর সংস্থার হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর বক্তব্য, অরুণাচল প্রদেশে এই মুহূর্তে কার্যত লুঠের পরিস্থিতি। রাজ্যজুড়ে অনাচার ও স্বজনপোষণ চলছে। এমনকী অরুণাচল নিয়ে CAG যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতেও দুর্নীতির উল্লেখ আছে বলে দাবি করেন আইনজীবী। যদিও অরুণাচল সরকারের তরফে আইনজীবী সব অভিযোগ খারিজ করেছেন। বিজেপি সরকারের দাবি, যে চুক্তি বা বরাত দেওয়ার কথা হচ্ছে সবটাই হয়েছে নিয়ম মেনে। হ্যাঁ, অরুণাচলের কাজের ধরন হয়তো আলাদা। কিন্ত কোনও বেনিয়ম হয়নি। এই অভিযোগ করা হয়েছে রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে।
দুই পক্ষের সওয়াল শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এ প্রসঙ্গে উপযুক্ত জবাব দিতে পারে কেন্দ্র। সেকারণেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং অর্থমন্ত্রককে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশকেও হলফনামা জারি করতে বলা হয়েছে।