অর্ণব দাস, বারাকপুর: পরকীয়ার টানে রাতবিরেতে মইয়ে চেপে ছাদ পারাপার! আর তাতেই নাকি প্রাণ গেল প্রাক্তন সেনাকর্মীর। মঙ্গলবার বারাকপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তালবাগান এলাকার এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল। এদিন সাতসকালে দোতলা বাড়ির সীমানা প্রাচীরের উপর থেকে উদ্ধার প্রাক্তন সেনাকর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ।

মৃতের নাম কমল সরকার। বয়স ৪২ বছর। মৃতদেহের পাশ থেকেই একটি মই উদ্ধার হওয়ায় রহস্য আরও বেড়েছে। যদিও, দুর্ঘটনা বলেই প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। তবে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মৃতের। রাতে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী মই পেতে এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে যেতেন। সোমবার গভীর রাতেও এমনটা করতে গিয়ে কোনওভাবে পা পিছলে মই সমেত নিচে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের কাছে প্রতিবেশী সেই গৃহবধূ একথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলেই খবর।
যদিও বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দ্রবদন ঝাঁ জানিয়েছেন, "প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহভাজন কিছু পাওয়া যায়নি। তবুও সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। মৃতের স্ত্রী ও মেয়ে বাইরে রয়েছেন। তাঁরা কোনও অভিযোগ দায়ের করলে সেই মোতাবেক তদন্ত করা হবে।"
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির দোতলা থাকতেন মৃত সেনাকর্মী তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। আর নিচতলায় থাকতেন মা ও দাদার পরিবার। সম্প্রতি কমলবাবুর স্ত্রী ও মেয়ে পুজো দিতে উজ্জয়িনী গিয়েছিলেন। দোতলা একাই ছিলেন কমল। রাত সাড়ে এগারোটা পর স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছিল তাঁর। এরপর এদিন আনুমানিক ভোর ছয়টা নাগাদ প্রাক্তন সেনা কর্মীর মা বাড়ির দরজা খুলে দেখেন বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ফেন্সিংয়ের উপর পরে রয়েছেন তাঁর ছেলে। চারিদিকে চাপচাপ রক্ত। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় টিটাগড় থানা ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে। কাউন্সিলর জয়দীপ দাস ও চেয়ারম্যান উত্তম দাস এই খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। জয়দীপ দাস বলেন, "ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসি। দুর্ঘটনা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।"