ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ঘোষিত রাজ্য বাজেটের দিনক্ষণ। ৮ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করা হবে। বিধানসভায় বাজেট পেশের পর তা নিয়ে আলোচনা হবে ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি। আর দিন ঘোষণার পরই ধরনা মঞ্চে বসে বাজেট তৈরির জন্য জরুরি কিছু কাজ সেরে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেন বেশ কিছু পরামর্শও।
শোনা যাচ্ছিল আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি হতে পারে রাজ্য বাজেট। তবে ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ ৫ তারিখ দিল্লি উড়ে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বৈঠকে তাঁকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মনে করা হচ্ছে, সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর ফিরে রাজ্য বাজেটে উপস্থিত থাকবেন মমতা।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীতে পুজো চলবে, নিম্ন আদালতের রায় বহাল হাই কোর্টে, ধাক্কা মুসলিম পক্ষের]
এদিকে, শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন তুলে নিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার জানান, “(শুভেন্দুকে নিয়ে) আমি অর্ডার দিয়েছিলাম এই সেশনের জন্য বা ৩০ দিনের জন্য। এই অধিবেশন আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে ৩০ দিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আজকের সর্বদল বৈঠক ও কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ করেছিলাম। কিন্তু তিনি আসেননি।” উল্লেখ্য, এদিনের সর্বদল বৈঠকে বিজেপি বা আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি উপস্থিত না থাকলেও কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ছিলেন নওশাদ। বিজেপির অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে স্পিকার বলেন, “বৈঠকে বিরোধীদের সদর্থক ভূমিকা থাকা উচিত। বিরোধী দলনেতা সঠিক আচরণ করছেন না। তাঁর সংযত হওয়া উচিত। আগের বিরোধী দলের নেতারা তো আসতেন সৌজন্য দেখিয়ে। দরকার পড়লে তাঁরা কথাও বলতেন।” সরকারের পক্ষে ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু সুজিত বসু, মলয় ঘটকরা।
একইসঙ্গে তাঁর দাবি, লোকসভার অধিবেশন যে পথে চলছে তার সঙ্গে তিনি একমত নন। সহমত পোষণ করেন না প্রধানমন্ত্রীর ভাবনার সঙ্গেও। স্পিকারের বক্তব্য, “অধিবেশন বিরোধীদের জন্য। সেখানে তাঁদের সাসপেন্ড করে রাখা হবে। এর সঙ্গে কোনওভাবেই সহমত পোষণ করি না।”
আগামী ৫ তারিখ থেকে শুরু বিধানসভার অধিবেশন। হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন-সহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী বিল অধিবেশনে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।