রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বাদ পড়া ইস্যুতে রাজনৈতিক রং লেগেছিল আগেই। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মহারাজের হয়ে ‘ব্যাট’ ধরেন। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সৌরভের পাশে দাড়ানোয় গোটা অধ্যায়ের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেল।
বিসিসিআইয়ে (BCCI) বঞ্চিত ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’কে পাঠানো হোক আইসিসি-তে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমনই অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই মমতার মন্তব্যের পালটা দিতে নামল বঙ্গের গেরুয়া ব্রিগেড। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, ”সৌরভকে যদি বাংলার রত্ন বলে মনে করতেন মুখ্যমন্ত্রী, তাহলে শাহরুখ খানকে সরিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতেন।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, সৌরভ ইস্যুতে বেকায়দায় পড়েই বিজেপির এই পালটা আক্রমণ।
গত কয়েকদিন ধরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ককে নিয়ে জোর চর্চা বিভিন্ন মহলে। আগের সপ্তাহেই গোটা দেশ জেনে ফেলেছিল বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইনিংস শেষ সৌরভের। তাঁর পরিবর্তে রজার বিনি বসতে চলেছেন বোর্ড প্রেসিডেন্টের মসনদে। এই খবরে রীতিমতো কেঁপে যায় দেশ। বোর্ড থেকে বাদ যাওয়ার পরে একটি বেসরকারি ব্যাংকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রথমবার মুখ খোলেন সৌরভ। সেখানেই জানিয়ে দেন, চিরকাল প্রশাসক হিসেবে কেউ কাজ চালিয়ে যেতে পারে না। আরও বড় মঞ্চে আগামিদিনে তাঁকে দেখা যাবে, এমন বার্তাও দেন মহারাজ। সৌরভের সেই মন্তব্য নিয়েও জোর চর্চা হয়। তবে কি তিনি ক্রিকেট প্রশাসনেই থাকবেন? এই গুঞ্জনও শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: আরএসএস গড়ে বিজেপির বিপর্যয়, পঞ্চায়েত সমিতি ভোটে বাজিমাত কংগ্রেসের]
এরপর ইডেনে দাঁড়িয়ে সৌরভ নিজেই জানিয়ে দেন, সিএবি নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়বেন তিনি। আর সপ্তাহের শুরুতেই কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মালবাজারে যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা বললেন, ”সুপ্রিম কোর্টের রায় সৌরভের জন্যও ছিল, অমিত শাহের ছেলের জন্যও ছিল। সৌরভ নেই অথচ বিসিসিআইয়ে থেকে গেলেন অমিতবাবুর ছেলে। সে থাকুন, আমার কিছু আসে যায় না। কিন্তু আমার প্রশ্ন সৌরভকে বাদ দেওয়া হল কেন? আমি এটা জানতে চাই।”
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর ন্যায়বিচার না পেলে পণ্ডিত হত্যা বন্ধ হবে না, বিস্ফোরক ফারুক আবদুল্লা]
এতদিন এই বিষয়টি নিয়ে বঙ্গ বিজেপির তরফে সেভাবে কিছু শোনা যায়নি। এবার মুখ্যমন্ত্রী সৌরভের হয়ে জোরদার সওয়াল করতেই বিজেপিও আসরে নেমে পড়ল। সৌরভকে বাংলার ব্র্যান্ড আম্বসাডর করার দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা। সৌরভের প্রতিক্রিয়া, ”সৌরভকে যদি বাংলার রত্ন বলে মনে করতেন মুখ্যমন্ত্রী, তাহলে শাহরুখ খানকে সরিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতেন। ”