রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার অনুমতি দেওয়া নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, সেনা অভিষেকের বুধবারের সভার অনুমতি দিতে চায়নি। পুলিশ জোর করে সেনার কলার ধরে সেই অনুমতি আদায় করেছে। প্রশ্ন উঠছে, শুভেন্দুর এই মন্তব্য কি সেনার পক্ষে অবমাননাকর নয়?
আসলে শহিদ মিনারে অভিষেকের সভা নিয়ে শুরুতে আপত্তি ছিল সেনার। ওই এলাকায় এই মুহূর্তে ডিএ’র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের ধরনা কর্মসূচি চলছে। একই এলাকায় জোড়া কর্মসূচির অনুমতি সেনা দিতে না চাইলেও রাজ্য পুলিশ অনুমতি দেয়। শেষে আদালতে মামলা গড়ায়। আদালত মঙ্গলবারই শর্তসাপেক্ষে অভিষেকের সভার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘সভার অনুমতি তৃণমূল নেয়নি। এই অনুমতি পুলিশ সেনার কলার ধরে নিয়েছে। তৃণমূলের দলদাস বিনীত গোয়েল একজন ডিজি-কে পাঠিয়ে কার্যত কলার ধরে আর্মির থেকে এনওসি নিয়েছে। এর থেকে লজ্জার কিছু হয় না।’
[আরও পড়ুন: বাড়ল প্যান-আধার সংযুক্তিকরণের সময়সীমা, নয়া ডেডলাইন জানাল কেন্দ্র]
এখানেই শেষ নয়, বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের (TMC) সভায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে রাজ্য অচল করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুভেন্দুর বক্তব্য, “আমি অত্যন্ত আতঙ্কিত ও আশঙ্কিত। যেসব গুন্ডারা ‘খেলা হবে’ ডিজে বাজিয়ে ২০২১ সালের ২রা মে-র পরে ১ লক্ষ বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করেছিল, ১০ হাজার কর্মীকে মেরেছে ও ৫৭ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে, এই গুন্ডারা শহিদ মিনারে আসবে।” শুভেন্দুর সাফ কথা, “কাল এরা যদি ডিএ’র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত দেয়, তাহলে সন্ধ্যার পরই বাংলা অচল হয়ে যাবে।”
[আরও পড়ুন: ‘দাদু ক্ষমা চেয়েছিলেন প্রমাণ করুন’, রাহুলকে চ্যালেঞ্জ সাভারকরের নাতির]
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিজেপির কিষান মোর্চার (Kishan Morcha) তরফে শহরে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। রাজ্যে কৃষকদের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। তাতে শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহারা উপস্থিত ছিলেন। সেই মিছিলেই এই দাবি করেন শুভেন্দু।