বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: এসএসসি কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্যে আন্দোলন তেমন গতি পায়নি। ফের দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) কাছে নালিশ করে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, SSC দুর্নীতিতে পার্থ একা জড়িত নন। তৃণমূলের শীর্ষস্তরের বহু নেতা এর সঙ্গে যুক্ত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে দুর্নীতিগ্রস্ত ১০০ জন নেতার একটি তালিকাও তিনি দিয়ে এসেছেন বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন,”বাংলার এই নিয়োগ দুর্নীতি স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নিয়োগ দুর্নীতি। আমাদের হিসাব বলছে, এতে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আর এর সঙ্গে একা পার্থ যুক্ত নন। পার্থ হয়তো ৩০০-৪০০ কোটি টাকা ভোগ করেছে। বাকি টাকা সরাসরি যেত তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের কাছে।” শুভেন্দুর দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অবগতিতেই পুরো দুর্নীতি হয়েছে। তার প্রমাণও নাকি তার কাছে আছে।
[আরও পড়ুন: সোনিয়া-রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার ন্যাশনাল হেরাল্ডের সদর দপ্তরে হানা ইডির]
বিরোধী দলনেতাকে পালটা আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণালের (Kunal Ghosh) তোপ, শুভেন্দুর মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। শুভেন্দুর নিজের নাম সারদা মামলায় সিবিআইয়ের এফআইআরে আছে। ওর উচিত তদন্তে স্বচ্ছতার খাতিরে আত্মসমর্পণ করা। কুণালবাবুর বক্তব্য, এজেন্সি থেকে বাঁচতেই শুভেন্দু বিজেপিতে গিয়েছেন। ও একটা চোর, তোলাবাজ, মেরুদণ্ডহীন। তাঁর কথায় গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে নেই।
[আরও পড়ুন: সংসদে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভাষণ কাকলির, পাশে বসে দু’লাখি ব্যাগ লুকোলেন মহুয়া!]
বিজেপি (BJP) সূত্রের আবার দাবি, শাহর কাছে নালিশ করতে গিয়ে নিজেই অস্বস্তিতে পড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শোনা যাচ্ছে, শাহ নাকি শুভেন্দুকে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যে গিয়ে সম্মিলিতভাবে এ নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। দুর্নীতি ইস্যুতে আন্দোলন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে না বিজেপি। দলের মধ্যে কোনওরকম গোষ্ঠীকোন্দল বা উপদল তৈরির চেষ্টা তিনি বরদাস্ত করবেন না। ঘটনাচক্রে শাহর সঙ্গে দেখা করার পরই দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু।