সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Teacher Recruitment Scam) তদন্তে একের পর এক নাম প্রকাশ্যে আসছে। জড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের (TMC) যব নেতাদেরও নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তলব করেছেন শাসকদল ঘনিষ্ঠ সেলিব্রিটিদেরও। এসবের মাঝে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। রবিবার নথি দেখিয়ে তাঁর দাবি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সুপারিশে গ্রুপ সি পদে ১৫০ জনের চাকরি হয়েছিল। আইনের বিচারে তাদের মধ্যে ৫৫ জনের চাকরি বাতিলও হয়েছে। এখন এই ১৫০ জন কারা? তা জানতে শুভেন্দু অধিকারীকেও (Suvendu Adhikari) তদন্তের আওতায় আনা হোক। দাবি কুণাল ঘোষের।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে শুরু করে শিক্ষাদপ্তরের একাধিক ব্যক্তি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আপাতত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে। দুর্নীতির উৎস খুঁজতে গিয়ে একের পর এক সূত্র হাতে আসছে ইডি, সিবিআইয়ের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাতে শাসকদলের যোগ খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এতে অবশ্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন শাসকদলের নেতানেত্রীরা। রবিবার কুণাল ঘোষ পালটা বিরোধী দলনেতা নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ তুললেন।
[আরও পড়ুন: মহাকাল মন্দিরে গিয়েই ফিরল ভাগ্য? সেঞ্চুরি করে শচীনের রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি]
এদিন নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে বেশ কিছু নথিপত্র তুলে ধরেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তাঁর দাবি, ”সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ৫৫ জন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। সেই ৫৫ জনের চাকরি কিন্তু হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর সুপারিশে। শুধু ৫৫ জন, মোট ১৫০ জনের চাকরির সুপারিশ করেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর নির্দেশে, তাঁর ব্যবস্থাপনায় এঁদের চাকরি হয়েছিল। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, এই দুর্নীতিতে জড়িত শুভেন্দু অধিকারীও। আমরা বলছি, তাঁকে তদন্তের আওতায় আনা হোক। এই ১৫০ জন কারা, কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, সব খতিয়ে দেখুক সিবিআই, ইডি।”
[আরও পড়ুন: SCC Scam: বিয়ের পরদিনই চাকরি গেল বরের! নবদম্পতিকে নিয়ে চিন্তায় নেটদুনিয়া]
প্রসঙ্গত, গত ২০১৬ সালে গ্রুপ সি’তে (Group C) মোট ২০৩৭ জনকে নিয়োগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৭৮৫ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল আগেই। শুক্রবার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার দু’দফায় মোট ৮৪২ জনের চাকরির নিয়োগপত্র বাতিলের নোটিস জারি করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অর্থাৎ চাকরি হারান ৮৪২ জন। এরপরই কুণাল ঘোষ পালটা শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুললেন।