সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) ফের চরম নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুরা। কাবুলের গুরুদ্বারে ঢুকে ভাঙচুর চালাল সশস্ত্র তালিবান জেহাদিরা। গুরুদ্বারের কয়েকজন কর্মীকে তারা আটকে রেখেছে বলেও খবর। মঙ্গলবার রাতের এহেন ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই হামলার একাধিক ভিডিও।
সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে আচমকাই কাবুলের প্রধান গুরুদ্বার (Gurduwara) কার্তে পারওয়ানে ঢুকে পড়ে তালিব (Taliban Terror) জেহাদিরা। ভাঙচুর চালায় সেখানে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সিসিটিভি। একাধিক তালাও ভেঙে ফেলে তারা। সেখানে থাকা কয়েকজন কর্মী, পুণ্যার্থীদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয় তারা। তবে ধর্মস্থানে তালিবানের হামলা নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও পূর্ব আফগানিস্তানের পাক্তিয়া প্রদেশের গুরুদ্বারের ছাদ থেকে শিখদের পবিত্র পতাকা ‘নিশান সাহিব’ সরিয়ে দিয়েছিল তারা। এবার সরাসরি ধর্মস্থান ভাঙচুর করল এই জেহাদিরা।
[আরও পড়ুন: তালিবানের সরকার গঠনের ‘পুরস্কার’, আইএসআই প্রধান ফইজ মহম্মদের পদোন্নতি পাকিস্তানে]
আফগান শিখ মাইনোরিটি-এর এক সদস্য সর্দার গোবিন্দ সিং ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে বন্দুক হাতে একাধিক ব্যক্তি গুরুদ্বারে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। লাথি মেরে ভেঙে ফেলছে তালাবন্ধ দরজাও। হামলার কথা জানিয়েছেন ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড ফোরামের সভাপতি পুনীত সিং চন্ধক সোশ্যাল মিডিয়া মারফত হামলার কথা স্বীকার করে নেন।
[আরও পড়ুন: তালিবানের সরকার গঠনের ‘পুরস্কার’, আইএসআই প্রধান ফইজ মহম্মদের পদোন্নতি পাকিস্তানে]
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালিবান। তার পরই তালিব কর্তারা শিখ ধর্মস্থান গুরুদ্বারে যান। আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁদের ধর্মাচারণে বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু তালিবানের কথা আর কাজের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল কাবুলের গুরুদ্বারের হামলার ঘটনা। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।