সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান (Taliban) নাকি বদলে গিয়েছে। নতুন করে ক্ষমতা দখলের পরে জেহাদিরা এইভাবেই নিজেদের ভাবমূর্তি শোধরানোর ‘ভান’ করেছিল। কিন্তু তা যে কেবলই কথার কথা, তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে। ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’-এর ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ৩০ আগস্ট সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের (Hazara ethnic group) ১৩ সদস্যকে হত্যা করেছিল তালিবান। তার মধ্যে ছিল এক ১৭ বছরের কিশোরীও। যা থেকে পরিষ্কার প্রত্যাবর্তনের গোড়া থেকেই নিজেদের স্বভাবে কোনও পরিবর্তন করার ইচ্ছাটুকুও ছিল না তালিবানের।
রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, গত ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের খিদির জেলায় প্রবেশ করে অন্তত ৩০০ তালিব যোদ্ধা। তারপরই শুরু হয় অবাধ হত্যালীলা। জানা যায়, নিহত ১৩ জনের মধ্যে আফগান সেনার ১১ জন প্রাক্তন সদস্য। তাঁদের মধ্যে ৯ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় কাছের নদীতীরে। তারপর একে একে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন:গরম-আঘাতে কীভাবে কাজ করে স্নায়ু? রহস্য উন্মোচন করে নোবেল পেলেন দুই মার্কিন গবেষক]
মৃতদের মধ্যে ছিল এক ১৭ বছরের কিশোরী। মাসুমা নামের ওই কিশোরী তালিবান-আফগান সেনার মধ্যে গুলি বিনিময়ের শিকার হয়। তারই মতো হাজারা সম্প্রদায়ের আরেক সাধারণ নাগরিক মারা যান গুলিতে।
এর আগে জানা গিয়েছিল, ১৯ আগস্ট ৯ জন হাজারা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে খুন করেছিল তালিবান। এবার ফের তালিবানের হাতে হাজারা সম্প্রদায়ের সদস্যদের মৃত্যুর খবর সামনে এল। কেবল তালিবানই নয়, তাদের অন্যতম ‘শত্রু’ ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর হাতেও হাজারা সম্প্রদায়ের বহু সদস্যের গত কয়েক মাসে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বিল মেটাচ্ছে না তালিবান, আফগানিস্তানে ফিরতে চলেছে ‘অন্ধকার যুগ’]
এদিকে আফগানিস্তানে তালিবান ও ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর মধ্যে সংঘর্ষ চরমে পৌঁছেছে। রবিবার কাবুলের ঈদগাহ মসজিদে তালিবান নেতার অন্ত্যেষ্টির সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় ইসলামিক স্টেট। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পালটা দিয়ে এবার কাবুলে আইএস-এর একটি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ।