সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের বন্ডি সমুদ্র সৈকতে ইহুদিদের উৎসবে বন্দুকবাজের হামলায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় হামলা চালায় দুই দুষ্কৃতী। তাঁদের মধ্যে একজন ২৪ বছরের নাভিদ আক্রম। বলা বাহুল্য, মুসলিম ধর্মাবলম্বী দুষ্কৃতীর ইহুদিদের উৎসবে হামলার চালানোর বিষয়টি স্পষ্ট হতেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। পুলিশ স্পষ্ট করেছে, এটি ছিল সন্ত্রাসবাদী হামলা। নাভিদ কি হামাসের সঙ্গে যুক্ত?
সিডনি পুলিশ মনে করছে, এটি সাধারণ বন্দুকবাজের হামলা নয়, বরং পরিকল্পিত সন্ত্রাসবাদী হামলা। ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের মধ্যে ইহুদিদের বিরুদ্ধে জেহাদি হামলা চালানো হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রম থাকত শহরের বন্নিরিগে। সেখানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নাভিদ আক্রম কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্য কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোশাল মিডিয়া মারফত জানা গিয়েছে, আদতে পাকিস্তানের লাহোরে বাসিন্দা নাভিদ। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ছবিতে তাঁকে পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের জার্সিতেও দেখা গিয়েছে।
সিডনির বন্ডি বিচে শিশু পার্কের কাছে ইহুদিদের ‘হানুক্কাহ’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ভিড়ের মধ্যে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বন্দুকবাজেরা। তদন্তকারীরা বলছেন, মাস খানেক ধরে পরিকল্পনা করে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। গুলির শব্দ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। পালটা গুলি চালানোয় মৃত্যু হয়েছে এক বন্দুকবাজের। আর এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ হিসাবেই দেখছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ঘটনার পর অকুস্থলের কাছে একটি গাড়ি থেকে কিছু বিস্ফোরকও উদ্ধার হয়েছে, যা আততায়ীদেরই বলে মনে করা হচ্ছে।
বন্ডি বিচে বন্দুকবাজের হামলায় ১১ জনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ। এই হামলার ঘটনাকে তিনি ‘হতবাক করা এবং বেদনাদায়ক” বলেছেন। নিহতদের পরিবার এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন আলবেনিজ। পুলিশ ও প্রশাসনের অন্য কর্তাদের যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “বন্ডি সৈকতে সন্ত্রাসবাদী হামলার কড়া নিন্দা করছি। ইহুদিদের উৎসব হানুক্কাহ উদযাপনের সময়ে এই হামলা চালানো হল। এই ঘটনায় যাঁরা নিহত হয়েছে, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা গোটা ভারতবাসীর তরফে। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ মানুষের পাশে আছি।”
