সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে তালিবানের পৈশাচিক রূপ। পরিচয় জেনেও ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকিকে খুন করে তালিবান (Taliban)। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করেছে আমেরিকার একটি ম্যাগাজিন।
[আরও পড়ুন: Pegasus: ফোনে নজরদারি কাণ্ডের জের, NSO Group দপ্তরে তল্লাশি চালাল ইজরায়েল]
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের হয়ে পেশার খাতিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্থানের স্পিন বলদাক এলাকায় কাজ করছিলেন দানিশ। মাঝমধ্যেই আফগান সেনা-তালিবানদের সংঘর্ষের ছবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্থানের ছবি তুলেও পাঠাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই কাজের খেসারত প্রাণ দিয়ে দিতে হয় পুলিৎজারজয়ী ওই সাংবাদিককে। গত ১৬ জুলাই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে তালিবান। ভারতীয় জেনেই তাঁকে খুন করে মাথা থেতলে দেয় জঙ্গিরা। ইতিমধ্যে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তালিবান। এবং মুখরক্ষা করতে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। কিন্তু তা যে শুধুমাত্র ছলনা এই কথা সবার জানা। তালিবানের আসল চেহারা সামনে এনে এবার Washington Examiner -এর রিপোর্ট বলছে, কান্দাহারের স্পিন বলদাক এলাকায় আফগান ফৌজের সঙ্গে গিয়েছিলেন দানিশ। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালিবানের সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করছিলেন তিনি। সেখানেই তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় তালিবান। সেই হামলার মুখে পড়ে মূল বাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান দানিশ এবং তিন আফগান সৈনিক। সেই সময়েই আফত হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করায় আফগান সেনা। মসজিদে দানিশদের আশ্রয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই তালিবান জঙ্গিরা সেখানে হামলা চালায়। স্থানীয়দের দাবি, মসজিদে সাংবাদিক আশ্রয় নিয়েছে এটা জেনেই সেখানে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই ম্যাগাজিনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জঙ্গিরা যখন মসজিদে ঢোকে তখন জীবিত ছিলেন দানিশ। প্রথমে তাঁর পরিচয় যাচাই করে জঙ্গিরা। তার পরই তাঁকে হত্যা করা হয়। দানিশের সঙ্গে থাকা আফগান সেনাদেরও খুন করে জঙ্গিরা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে কান্দাহারে নিজের বাড়ি থেকে কমেডিয়ান তথা আফগান পুলিশের প্রাক্তন কর্মী নজর মহম্মদকে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসবাদীরা। গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময়েই প্রচণ্ড মারধর করা হয় তাঁকে। তার পরে গাড়ি থেকে নামিয়ে, গাছে বেঁধে লোকটির গলা কেটে ফেলে জঙ্গিরা। এই ঘটনার নেপথ্যে তালিবানের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে নিহত শিল্পীর পরিবার। এই ভয়াবহ ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে আফগানিস্তানে কর্মরত এক বিদেশি সাংবাদিক দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড তালিবানের কাজ।