সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তায় চলছিল বিক্ষোভ। এক সরকারি হাসপাতালের সামনে পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন বেশ কিছু মানুষ। আর সেই সময় তাঁদের সরাতে গিয়ে নিগ্রহের শিকার হলেন এক মহিলা পুলিশ অফিসার। তাঁকে ধাক্কা দেওয়ার পাশাপাশি চুল ধরেও টানার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও চারজনকে। তামিলনাড়ুর বিরুধুনগর জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এমনই এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
ঠিক কী হয়েছিল? গত সোমবার দক্ষিণী রাজ্যের অরুপুক্কোটাইয়ে খুন হন কালী কুমার নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই এই খুন। মৃতের বন্ধু ও পরিবারের বহু সদস্য মঙ্গলবার জড়ো হন যে হাসপাতালে কালী কুমারের দেহ রয়েছে সেখানে। খুনিদের গ্রেপ্তারির দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এর পর কয়েকজন পথ অবরোধ করার চেষ্টা করেন। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি (ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ) গায়ত্রী ও অন্য পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা অবরোধকারীদের সরাতে গেলে গোলমাল শুরু হয়ে যায়। বিষয়টা পৌঁছে যায় হাতাহাতির পর্যায়ে।
[আরও পড়ুন: ‘বেটে কো পড়াও, বেটি কো বাঁচাও’, বদলাপুর কাণ্ডে সরকারকে বলল বম্বে হাই কোর্ট]
সেই সময়ই গায়ত্রীকে ধাক্কা দেন এক বিক্ষোভকারী। আর একজন এসে তাঁর চুল ধরে টান দেন। দ্রুত বাকি পুলিশ কর্মীরা গায়ত্রীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যান। গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত বালামুরুগানকে। তাঁর বিরুদ্ধেই গায়ত্রীর চুল ধরে টানার অভিযোগ। সেই সঙ্গেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও চারজনকে। তবে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মহিলা ডিএসপির কোনও চোট লাগেনি।
এদিকে এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল ডিএমকে-কে খোঁচা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা পালানিস্বামী। তাঁর দাবি, ডিএমকে সরকার ও তাদের 'পুতুল' মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে সকলের জন্য নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। এমনকী পুলিশদের জন্যও। ধৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপের আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। পালানিস্বামীর কথায়, ''ডিএমকে আমলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। কেউ আইনকে তোয়াক্কাই করছে না।''